বাংলাদেশের ছাত্র জনতার স্বতস্ফুর্ত আন্দলোনের জয় হয়েছে। গনহত্যার দায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছে। তিনি পালিয়ে যাক, বা পরিস্থিতির কারনে দেশত্যাগ করুক বা তার সরকার গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে যাই বলি না কেন বাস্তবতা হলো শেখ হাসিনা বর্তমানে প্রাক্তন। তিনি বাংলাদেশে আর প্রধানমন্ত্রী নন, জনগন যেমনটি চেয়েছিল তেমনটি হয়েছে। আনন্দ উল−াস, উৎসব, উচ্ছাস থেমে নেই। গতকাল দুপুর দুইটার পর থেকে দৃশ্যত রাজধানী ঢাকায় জনতার ঢল নামে, বিজয় আনন্দের চিত্র চিত্রায়িত হয় সর্বত্র। এক কথায় জনগনের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। উৎসব বা জয়স্রোত যখন প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা, হানাহানি, রক্তপাত, আগুন জ্বালানো পর্যায় পৌছায় তখন পরিস্থিতিকে কতটুকু সহনীয় এবং গ্রহন যোগ্য সেটা বিবেচ্য বিষয়। প্রতিশোধ গ্রহনের প্রবনতা, প্রতিশোধ গ্রহন, আইন হাতে তুলে নেওয়া কতটুকু সঙ্গত? গতকাল বিকাল হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাংচুর, লুটপাট, সম্মান হানী, হাঙ্গামায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনাটি কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় সাতক্ষীরা শহর সহ উপজেলা গুলোতে আনন্দ মিছিল এবং বিজয় উৎসব উৎসব হয়েছে। নির্যাতিত, অধিকার হারা, মানুষরা যেমন স্বতস্ফুর্ত ভাবে বিজয় আনন্দ প্রকাশ করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং কর্মিসমর্থকরা মিছিল সমাবেশ করেছে। পনের বছরের দুঃসহ পরিস্থিতি হতে মুক্তির বিজয় নিশান উড়িয়েছে। এক কথায় সর্বত্র আনন্দস্রোত। জয়ের আনন্দ, দুঃশাসনের আবসান, গনতন্ত্রের মুক্তি এই মূহুর্তকে কুলষিত করেছে প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ, হিংসা বিদ্বেষ, ভিন্ন মতের উপর হামলা। খারাপের সাথে খারাপ আচরন ভাল কিছু নয়। অপরাধীকে শাস্তিদিতে পারে দেশের প্রচলিত আইন। দুর্নীতি বাজ বা অত্যাচারীকে আইনই তার বিচার করবে। ব্যক্তিগত বিরোধ, গোষ্ঠীগত দ্বন্ড, পরিবারীক গোলযোগ এবং ভিন্নমত ভিন্ন পথের, জয় পরাজয়ের এই সময়ে চিহ্নিত করা কি সঙ্গত? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা না করে সহিংসতার পথে হাটা রাজনৈতিক সংস্কৃতির এবং মানবতার পরিপন্থী নয় কি? সকলেই বাংলাদেশী এই ভূ-খন্ডের অধিবাসি, সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় হিংসাত্মক কর্মকান্ড হতে দুরে থাকাই বিজয় আনন্দ, এই দেশ মুসলিম, হিন্দু, খ্রীস্টানসহ সব ধর্মীয়দের, সম্প্রীতির বন্ধনে একে অন্যের প্রতি আন্তরিক, সম্প্রদায়িকতার চেতনাকে ধারন করে, সব ধরনের বিদ্বেষকে না বলি, সংঘাত নয়, সহিংসতা নয়, প্রতিশোধ নয়, সহনশীলতা এবং পরস্পারিক শ্রদ্ধা এবং সম্মানবোধের উর্বর ক্ষেত্র বির্নির্মান করি।