এফএনএস: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মিলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক মানবাধিকার গ্রুপ রাইট টু ফ্রিডমের প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী পরিচালক জন ড্যানিলোভিচ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাদের এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। সাবেক দুই মার্কিন কূটনীতিক ফ্রিডম রাইট নিয়ে কাজ এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে তাদের কাজ স¤প্রসারণে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। প্রফেসর ইউনূস অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানের কাজ এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় দুই কূটনীতিকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতের দায়িত্ব পালন করা রাষ্ট্রদূত মিলাম সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে ব্যাপক সংস্কার ও সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ—রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোউইজ বলেন, ভুয়া খবর ও মিথ্যা তথ্যের হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ইতিবাচক বক্তব্য ও আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, ছয়টি কমিশনের সুপারিশকৃত সংস্কার নিয়ে সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই মাসের সনদে স্বাক্ষর করবে। তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদের পথ দেখাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদে প্রদত্ত সুপারিশগুলোর কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে এবং বাকিগুলো রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে। তারা বাংলাদেশ—যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের শরণার্থীদের জন্য সহায়তা হ্রাসের প্রভাব, বিগত সরকারের সময় চুরি যাওয়া কোটি কোটি ডলার উদ্ধার, প্রধান উপদেষ্টার সার্ক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা এবং আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে কম সংস্কারে সম্মত হয় অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।