এফএনএস বিদেশ : যুদ্ধে আক্রান্ত এলাকা থেকে পোষা প্রাণীকে নিয়ে আসা কি স্বার্থপরতা? এক ভারতীয় শিক্ষার্থী এটাকে স্বার্থপরতা মনে করেননি। ২০ বছর বয়সী ভারতীয় আরিয়া আলদ্রিন চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। তিনি ইউক্রেনে থেকে ফেরার পথে তার কুকুরকে ছাড়া আসতে রাজি হননি। পাঁচ মাস বয়সী পোষা হাস্কি প্রজাতির কুকুর জাইরাকে নিয়ে ভয়াবহ এক যাত্রার পর ভারতের কেরালায় পৌঁছান তিনি। অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থীই ইউক্রেন থেকে তাদের পোষা প্রাণীকে দেশে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আলদ্রিনের একটি ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। অনেকেই তাকে নিয়ে ট্রলও করে। অনেকে টিপ্পনি কাটে, তোমার বাবা মা তোমাকে ইউক্রেনে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছেন নাকি পশুদের সেবা করতে পাঠিয়েছে? এদিকে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতীয় সরকারের কি পোষা প্রাণীদের নেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত যেখানে মানুষেরই জায়গা হচ্ছে না? এর উত্তরে আলদ্রিন জানিয়েছেন, জায়রা একটি খাঁচায় করে এসেছে। সে কোনো যাত্রীর জায়গা নেয়নি। সে বিমানের কার্গো সেকশনে ছিল। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার দুইদিন পর ২৬ ফেব্র“য়ারি আরিয়া এবং জায়রা এক বন্ধুর সঙ্গে ভিনিতসায়া ত্যাগ করেন। এর পরদিন তারা রোমানিয়ার সীমান্তে যান। পুরো সময়জুড়েই ১৬ কেজি ওজনের জায়রা চুপচাপ হয়ে আরিয়ার সঙ্গে ছিল। সীমান্তে দীর্ঘ গাড়ির সারির কারণে তাদের বাস ২০ কিলোমিটার আগেই থেমে যায়। এরপরই হাঁটা শুরু করেন। তাদের কাছে বিস্কুট-জুসসহ সামান্য যা খাবার ছিল সেটা খেয়েই থাকেন তারা। এদিকে জায়রাকে যেন ভারতে নেওয়া যায় সেই উদ্দেশে যুদ্ধের ঝুঁকির মধ্যেও আলদ্রিন জায়রার জন্য পাসপোর্ট করেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। দেশে ফেরার পর কেরালা রাজ্য সরকার আলদ্রিনের প্রশংসা করে ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করে।