এফএনএস: চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ইয়াকভলেভ ইয়াক ১৩০ (ণধশ-১৩০) মডেলের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক পাইলট মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পাইলটের নাম স্কোয়াড্রন লিডার আমিম জাওয়াদ। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আমানউল্লাহ। থাকতেন চট্টগ্রাম বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমা’তে। চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌপুলিশের ওসি মো. একরাম উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পতেঙ্গা এলাকায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান আগুন লেগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটিতে দুজন পাইলট ছিলেন। তারা প্যারাস্যুটের মাধ্যমে নিচে নেমে যান। তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। অপরজন সুস্থ আছেন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) পতেঙ্গা থানার ওসি মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন জহুরুল হক ঘাঁটির বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়। এটি চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের কাছে ১১ নম্বর ঘাটের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের বিপরীত পাশে এইচএম স্টিল ফ্যাক্টরির সামনে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে এ ঘটনা ঘটে। ওসি আরও বলেন, ওই বিমানে দুজন পাইলট ছিলেন। এর মধ্যে উইং কমান্ডার সুহান, যিনি আহত অবস্থায় জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ, যিনি গুরুতর আহত অবস্থায় বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় বেলা ১২টায় মারা যান। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৬ মিনিটে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। পরে ১০টা ২৮ মিনিটে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন ধরে যায়। এতে বিমানটিতে থাকা দুই পাইলট প্যারাস্যুটের মাধ্যমে নিচে নেমে যান। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর তাদের কী অবস্থা সে সম্পর্কে আমি কোনো খবর পাইনি। রাশিয়ার সমরাস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইরকুত করপোরেশনের তৈরি ইয়াক ১৩০ (ণধশ-১৩০) যুদ্ধবিমানটি সাবসনিক দুই সিটের উন্নত জেট প্রশিক্ষণ এবং হালকা যুদ্ধবিমান। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার যুদ্ধবিমানটি আকাশে উড্ডয়ন করে। এরপর ২০০২ সালে এটি রুশ সামরিক পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রধান আকাশযান হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ২০১৫ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসে এই যুদ্ধবিমান।