ভ্রাম্যমান প্রতিনিধ ঃপ্রাকৃতিক দূর্যোগ আমফান,ঈয়াস সহ বিভিন্ন দুর্যোগের তান্ডবে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।বিভিন্ন দিক দিযে় বিষন্ন হযে় ওঠে মানব জীবন। এলাকার কাঁচাঘর বাড়ি,ঘের,জমির ফসল সহ গাছ পালা ভেঙ্গে চুরমার।নদীর পানির প্রবল স্রোত এবং ঝড়ো হাওয়ার তান্ডবে নদীর মাটির ভেড়িবাধ ভেঙ্গে ভাঙ্গনে পরিনত হয়।দুর্যোগ পরবর্তী দীর্ঘ সময় পার হলো। হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত ভেডি় বাধ ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান। অতীত থেকে উপকূলীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থা অনুন্নত।এ অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থাকে যাতায়াতের অনুপযোগী করে তুলেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদীর পানির জোয়ার ভাটার প্রবল স্রোত নদীর ভেডি় বাঁধ ভেঙে ।যাতায়াতের এ ভেডি় বাধ স্থানীয় জনগণের জন্য মরণ ফাঁদ হিসেবে পরিণত হযে়ছে।চলাচলে জনদুর্ভোগ, তার উপরে ভাঙ্গন আতঙ্কে এ জনপদের জনবাসী। যেকোনো সময় নদীর পানির জোয়ারে ভেঙে যেতে পারে অতি বিপদজনক ভেড়িবাঁধ পযে়ন্ট গুলো ।সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের নজরদারিতে আছে কিনা এসব বিপদজনক ভাঙ্গন কবলিত পযে়ন্ট গুলো এমন প্রশ্ন জনমনে। প্রাকৃতিক দূর্ভেযোগের বিষাক্ত বেদনা আজও ভুলতে পারেনি উপকূল বাসী।তার উপরে সীমান্ত এলাকার একমাত্র চলাচলের মাধ্যম ভেড়ি চলাচলের মহা ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে।ভেড়ি ভেঙ্গে এমন পর্যায়ে পৌচেছে যে একটা ভ্যান যাওয়ার পথ নেই, একটা মটর বাইক ক্রস করা যায় না। মাসের পর মাস পেরিযে় বছর গডি়যে় দীর্ঘ সময় পার হলো হয়নি ভেড়িবাধের সংস্কার।কতৃপক্ষের দায়সারা কার্যক্রম পালন আর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগনকে বুঝিয়ে রাখা এমন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে বলে মনে করছেন সূধীমহল। কতৃপক্ষের নজরে কি আসেনি এসব জন ভোগান্তির ভেড়িবাধ ভাঙ্গন গুলো।অতীতের চেয়ে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঘনঘটা বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই জনগনের জান মাল নিরাপত্তার স্বার্থে এ নড়বড়ে ভেড়িবাধ সংস্কার করে স্থায়ী টেকসই ভেড়ি বাধ নির্মান প্রয়োজন।সীমান্ত নদীবেষ্টিত কৈখালী ইউনিয়নের কালিন্দী নদীর ভেডি়বাধের অধিকাংশ জায়গায় ভাঙ্গন সমস্যায় জর্জরিত।এমন একটি ভাঙ্গন কবলিত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হচ্ছে পরানপুর বিজিবি ক্যাম্প ও নিদয়া বিজিবি ক্যাম্পের মধ্যবর্তী স্থান কাঠামারী সাত্তার মোড়লের বাডি় সংলগ্ন। ভেরি বাঁধ ভেঙ্গে যেকোনো সময় প্লাবনের আশঙ্কা।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এক এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। শ্যামনগর উপজেলার সীমান্তের কোল ঘেষা গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুডি়গোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, রমজান নগর , কৈখালি সহ অন্যান্য ইউনিয়ন গুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের রোসানলে পডে় যে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি শিকার হয় তার সে বিষবেদনা এখনো ভুলতে পারেনি এলাকার জনগণ ।তার উপরে নতুন করে ভেড়ি বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পডে়ছে।সীমান্ত ভেড়িবাধের এসব ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা দিয়ে বিজিবি টহলে নতুন মডেলের সরকারী গাড়ি গুলো চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকাই গাডি়গুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে এমন ও তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কি ভেড়িবাধ ভেঙ্গে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল,ঘেরের মৎস্য সম্পদ সহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পর কি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গে?জনগনের জানমালের নিরাপত্তা কোথায়?।জনগনের সার্বিক ক্ষতিগ্রস্থ হবার আগে প্রয়োজন ভেড়িবাধ ভাঙ্গনের সমাধান। কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল । সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জনস্বার্থে আন্তরিক হতে হবে। মমত্ববোধ থাকতে হবে সর্বসাধারন মানুষের প্রতি।নিজের উপর অর্পিত সরকারি দায়িত্ব যথাযথ পালনের মধ্যদিয়ে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভাঙ্গনকবলিত বেড়িবাঁধ সমস্যার সমাধান হোক এমন প্রত্যশা সূধীসমাজের।