জি এম শাহনেওয়াজ ঢাকা থেকে \ নির্বাচনে প্রার্থিতায় অযোগ্য হবেন যেকোন স্তরের ঋণখেলাপীরা। এ লক্ষ্যে গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এ সংস্কার আনতে প্রস্তাব তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার সকাল ১১টায় এ প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময় করতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি। মূলত নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলকারী সদস্য হইবার বা থাকিবার অযোগ্যতাসমূহ আরপিও’র ১৩ ধারা বিভিন্ন উপ-ধারায় সংশোধন আনা হচ্ছে। মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অপর চার কমিশনার, ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তিতাস, ওয়াসাসহ বিল সংক্রান্ত স্টেকহোল্ডারের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তাদের মতামত নিয়ে ঋণখেলাপী সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবে ইসি। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার বলেন, ঋণখেলাপী আইনের ধারায় বিদ্যমান অস্পষ্টতা দূর করার জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। বিশেষ করে যারা নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তারা যাতে আইনটি পাঠ করে সহজেই বুঝতে পারেন কারা ঋণখেলাপী এবং কারা না তা স্পষ্ট করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কমিশন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করার উদ্যোগ নেন। আগামীকাল সোমবার (আজ) ইসির সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের এ মতবিনিময় হবে। আরপিও’র ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঞ)(ট)(ঠ)(ড) এবং সন্নিহিত ব্যাখ্যা-২, ব্যাখ্যা-৩, ব্যাখ্যা-৪, ব্যাখ্যা-৫, ব্যাখ্যা-৬ ও ব্যাখ্যা-৭ একত্রে এতোগুলো ধারা বিলুপ্ত করে নি¤েœর দফা (ট) প্রতিস্থাপিত হইবে। বিদ্যমান ১৩(১)এর(ট) ধারায় বলা আছে, তিনি, কৃষি কার্যের জন্য গৃহীত ক্ষুদ্র কৃষি ঋণ ব্যতিত, ঋণগ্রহীতা হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা প্রদানের তারিখের পূর্ববর্তী সাত দিনের মধ্যে তৎকর্তৃক কোনো ব্যাংক হ্ইতে গৃহীত কোনো ঋণ বা উহার কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হইয়া থাকেন। প্রস্তাবিত আইনের এ ধারায় সংশোধনী এনে বলা হয়েছে, তাহার বিরুদ্ধে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর অধীন ঋণ আদায়ের জন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোনো আদালতে মামলা অথবা কোন সরকারি সংস্থা বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরকারি পাওনা আদায় আইন, ১৯১৩ এর অধীনে সার্টিফিকেট মামলা বা কোনো দেওয়ানি আদালতে কোনো দেওয়ানি মামলা এই আইনের ১২ ধারার অধীন মনোনয়ন আহবান করিবার অন্যূন ৬ মাস পূর্বে দায়ের হইয়ে চলমান থাকে এবং মনোনয়ন দাখিলের পূর্বেই উক্ত মামলা বা, ক্ষেত্রমত, সার্টিফিকেট মামলা হইতে তিনি দায়মুক্ত না হইয়া থাকেন; এবং এই দফার বিধান নিমোক্ত শর্তসাপেক্ষে হইবে, যথা (অ) এই দফায় অধীন কোনো মামলা যদি কোনো বাণিজ্যিক কোম্পানি, ব্যাংক কোম্পানি বা যৌথ কারবারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (পার্টনারশিপ ফার্ম আন্ডার পার্টনারশিপ অ্যাক্ট,১৯৩২) এর বিরুদ্ধে দায়ের হইয়া থাকে, তাহা হইলে অনুরুপ বাণিজ্যিক কোম্পানী, ব্যাংক কোম্পানী বা যৌথ কারবারি প্রতিষ্ঠানের মালিক, শেয়ার হোল্ডার পরিচালক বা, ক্ষেত্রমত, অংশিদার এই দফার অধীন অযোগ্য গণ্য হইবেন না, যদি মামলা দায়ের হইবার পূর্বেই তিনি উলিখিত বাণিজ্যিক কোম্পানী, ব্যাংক কোম্পানী বা যৌথ কারবারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, শেয়ার হোল্ডার পরিচালক বা ক্ষেত্রমত, অংশিদার হিসাবে তাঁহার স্বত্ব ত্যাগ করিয়া থাকেন; এবং (আ) এই দফার অধীন দায়েরকৃত মামলার ধারাবাহিকতায় উচ্চতর কোনো আদালতে রীট, আপিল, রিভিশন বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা ঋজু করা হইলে বা চলমান থাকিলে, মুল মামলা চলমান রহিয়াছে মর্মে গণ্য হইবেন; এবং উচ্চতর কোনো আদালত কর্তৃক উক্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হইলে উক্ত কারণে উক্ত মামলা চলমান নহে মর্মে গণ্য করা যাইবে না। উলেখ্য গত কমিশন ঋণখেলাপী ধারায় পরিবর্তন এনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ৭দিন আগে ঋণ পরিশোধের বিধান যুক্ত করা হয়। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন এটাকে সংশোধনী এনে ৬ মাস পূর্বে শব্দ যুক্ত করছে।