দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ শুক্রবার সকাল সাতটা সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের পারুলিয়ায় মৃত গরু ভ্যান যোগে নিরবে অশ্র“সিক্ত নয়নে বহন করে চলেছেন হত দরিদ্র ফজল আলী। আশা, স্বপ্ন, সাধ নির্ভরতা এক কথায় সংসার নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন হিসেবে ফজর আলী সাত রাজার ধন ছিল মৃত এই অবলা প্রাণি। কয়েকদিন পরই উন্নত জাতের গরুটি বাচ্চা প্রসব করবে, অভাবের সংসারের আলো হিসেবে উক্ত বাচ্চার কল্যানে দুধ উৎপাদন হবে। কিন্তু অভাবী, হতদরিদ্র ফজর আলীর সংসার, জীবনযাপন অন্ধকারাচ্ছন্ন আমাবস্যায় ভর করলো আর্তনাদ যেন শেষ হয় না। পারুলিয়া এলাকায় অতি পরিচিত গাছি হিসেবে ফজর আলীর পরিচিতির ও শেষ নেই। সংসার জীবনের অন্যতম অবলম্বন গরুটির শেষ যাত্রায় ফজর আলী নিজেই ভ্যান যোগে নদীতে ফেলতে চলেছেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় আবার কখনও কখনও বাকরুদ্ধ হয়ে তিনি উপস্থিত সমব্যাধিদের উদ্দেশ্যে বলছিলেন গত দুই বছর যাবৎ সন্তানের মত লালন পালন করেছি, প্রায় লক্ষ টাকার মূল্যের গরুটি আমার জীবনের মতই ছিল। কিন্তু সব শেষ, আশা ভরসা অবলম্বন কিছুই থাকলো না। তিনি থেমে থেমে জানালেন কয়েকদিন পূর্বে গরুটির খাওয়ার চাহিদা ছিল না, এরই মধ্যে শরীরময় পকস দেখা দেয়, তিনি স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করান কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে দিয়ে আমার প্রাণ ভেঙ্গে বিদায় নিলো। ফজর আলীর আহাজারী বিলাপ গ্রাম বাসির ন্যায় পথচলা মানুষদেরকে ব্যথিত করেছে। ছা পোষা দরিদ্রের শেষ সীমানায় বসবাস করা ফজর আলীর নির্ভরতার প্রতিক গরুটি হারিয়ে কেবল হৃদয়ে রক্ত ক্ষরনের কারন নয় যেন সর্বস্ব সন্তান হারানোর শোকে মুঠমান।