প্রেমের ফুলে পুজার অর্ঘ্য
অশোক কুমার বিশ্বাস
সদ্য ফোটা লাল গোলাপ নিয়ে আমি আর
আসবো না কোনোদিন
নতজানু ভঙ্গিতে দুহাত বাড়িয়ে আমি তার
বলবো না কোনো দিন
শ্রীলেখা, হে প্রিয়তমা ভালবাসি তোমায়।
জন্মের পর থেকে ভাবনার উন্মুক্ত আকাশে
কল্পনায় জল্পনায় কত স্বপ্নের জাল বুনেছি
একদিন আমিও প্রেমিক হবো
চপলা চাহনির চঞ্চু স্পর্শ কোরে
আমিও শিহরিত হবো
এভাবেই অভিযানের অদৃশ্য উচ্ছাসে
হিমবাহ গিরিপথ অতিক্রম কোরে অবশেষে
একদিন ঠিক দুর্গম উপত্যকায় পৌছে যাবে।
তারপর
তারপর হবে ইতিহাস,
প্রেমের সাতকাহনে রচিত হবে অলিখিত মহাকাব্য
একগুচ্ছ সদা ফোটা লাল গোলাপে
তোমার সর্বাঙ্গ আচ্ছাদিত কোরে
আমি উড়বো প্রেমের বিজয় নিশানে।
এই স্বপ্ন, এই অনুভূতি, এই অভিলাষ
পুষে পুষে
জীবনের এতগুলো দিন কেটেছে শুধু তোমার প্রতীক্ষায়
কবে পূর্ণমশী চন্দ্রকলা এক পৃথিবী আলোয়
প্রজ্বলিত হবে
দক্ষিন দুয়ারে মাতাল সমীরনে সাগর উত্তাল হবে
কিংবা বৃষ্টি ভেজা আয়াঢ়ে
শৃঙ্গনৃতো ময়ুরপুচ্ছ সাতরঙ্গে রঞ্জিত হবে সেই শুভক্ষনে
তোমাতে আমাতে দেখা হবে, কথা হবে
হবে পরিচয়, প্রনয় কিংবা পরিনয়।
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষন
জোছনা রাতের শুভ্রতায় পৃথিবী ঝলমল
গভীর গর্জনে সদা ফেনিল সমুদ্রতীর
পাহাড়ের সমতলে দুর্গদলে গাঢ় সবুজের
পুরু আস্তরন
চারদিকে সিস্তব্ধ, কোথাও কেউ নেই
নিসর্গ নিরজনে নন্দনে চন্দনে
তুমি এলে
স্বগ্রালোকের ভাবনা থেকে
এই প্রথম বাস্তবে তোমাকে দেখলাম
কে তুমি?
তুমি অপসরা, উর্বসী, অস্বা নাকি মহুরা?
রুপ লাবণ্যে কি অপরুপা তুমি, হে দেবী!
আমি নির্বাক তুমি নির্বিকার
কিংকর্তব্য বিমুঢ় আমি!
আমার লাল গোলাপের লাল রঙ
আজ আরো লাল আরো সতেজ
আমার প্রেমের ফুল আজ পুজার অর্ঘ্য হয়েগেছে
আমার প্রেমের সমাধিতে
আজ তোমাকে দেবীরুপে বরন করি
আমার পূজার অর্ঘ্য গ্রহন করো হে দেবী
সদ্য ফোটা লাল গোলাপ নিয়ে আর
বলবো না কোনোদিন
শ্রীলেখা হে প্রিয়তমে
ভালোবাসি তোমায়।