কপিলমুনি প্রতিনিধি \ সরকারী প্রতিষ্ঠান হলেও উপজেলা পর্যায়ে শিশু শিক্ষার মানউন্নয়নে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কপিলমুনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ইতোমধ্যে ২০২২ জাতীয় শিক্ষাপদকে ভূষিত হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান অভিভাবক সদস্য তাপস কুমার সাধু উপজেলার শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি যেমন তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে। তেমনি গতি ফিরেছে শিশু শিক্ষায়। অত্র বিদ্যালয়ে সুসজ্জিত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী কক্ষ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বুক কর্ণার, উদরতা শিক্ষা কর্ণার, শেখ রাসেল কর্ণার, লাইব্রেরী, অফিস কক্ষ, শিশু অটিজম কর্ণার, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার বিদ্যালয়টিকে দৃষ্টিনন্দন করেছে। ১৯৪৭ খ্রীঃ প্রতিষ্ঠিত পরবর্তী বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ৫ শত শিশু শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। যার বিপরীতে রয়েছে ১২ জন কর্মরত শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামানের সার্বিক তত্বাবধানে বিগত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। উন্নয়ন কর্মকান্ড বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান অভিভাবক সদস্য তাপস কুমার সাধুর সার্বিক তত্বাবধানে স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারী অনুদানের পাশাপাশি তাপস কুমার সাধু নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়টির তৃতীয় তলায় একটি বিশাল হল রুম তৈরী করেছেন। এ বছরে ২১ ডিসেম্বর বার্ষিকী পরিক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। সেখানেও রয়েছে অতুলনীয় সাফাল্যে চাবিকাঠি। ফলাফল ঘোষণারদিন শিশু শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবক সদস্যদের সন্মান দেখানো হয়েছে। সবমিলিয়ে কপিলমুনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এক অন্যন সাফাল্যে দাবীদার। এদিকে নানা বিষয়ের উপর গত ২৬ অক্টোবর বিদ্যালয়টি আকস্মিক পরিদর্শন করেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম। পরিদর্শনকালে শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম ও উন্নয়ন কর্মকান্ড ঘুরে দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় পরিদর্শনে সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, ২ নং কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দারসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ।