দক্ষিণ শ্রীপুর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর বটতলা মোড় থেকে বেড়াখালি ও বাঁশদহ মানিক মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তাটি খানাখন্দে বেহাল দশা। এ যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশা হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জন সাধরণের দুর্ভোগের সীমা নেই।এদিকে রাস্তাটির বেহাল হওয়ায় প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। সরেজমিনে দেখা যায়, ফতেপুর বটতলা মোড় হয়ে বেড়াখালী ও বাঁশদহ মানিক মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ইটের সলিং এর রাস্তাটির জায়গায় জায়গায় ভাঙা ও ধ্বষে গেছে। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় খানাখন্দে পানি বেঁধে যাচ্ছে। ফতেপুর ও বেড়াখালী গ্রামের একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে জানান, ভাঙা ও ধ্বষে যাওয়া রাস্তায় মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল নিয়ে চালিয়ে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বেড়াখালী ও ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দাসহ পার্শ্ববর্তী চাম্পাফুল ইউনিয়নের নবীন নগর গ্রামের মানুষ ও আশপাশের গ্রামের জরসাধারণের চলাচরে এই রাস্তাটিই ভরসা। এছাড়া কোনো অসুস্থ রোগী নিয়ে রাস্তাটি দিয়ে যেতে পারি না। ৫ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে এ রাস্তা দিয়ে।এছাড়াও রাস্তা খারাপের কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যাওয়া আসার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি এখন পিচ করনের সময় দাবি হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসি দ্রুত সংস্কার দেখতে চায়। এই তিন কিলোমিটার ইটের রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হয়। গত ১৮ বছর আগে এ তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় ইট বসানো হয়। তার পর আর রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা করা হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, রাস্তা খারাপ মানুষের চলাচলের সমস্যার সীমা নেই।তবে বেড়াখালি গুরুপদোর বাড়ির সামনে কালভার্টটি গত প্রায় ৩ বছর আগে ভেঙ্গে যাওয়ায় এতে করে মাঝেমধ্যেই পথচারীরা দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ শ্রীপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন বাঁশতলা বটতলা মোড় থেকে বেড়াখালী মানিক মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের অধিক ইটের সলিং এ রাস্তাটি দ্রুতই পুনরায় সংস্কার করা হবে।