এফএনএস: ফরিদপুর সদর উপজেলায় একটি ফিলিং স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে ওবায়দুর রহমান খান (৩২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় ওই যুবকের চোখ উপড়ে ফেলা হয়। গতকাল শনিবার সকালে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার কানাইপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মমতাজ ফিলিং স্টেশন থেকে ওই যুবককে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ওবায়দুর রহমান খান উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে। ওবায়দুরের বড় ভাই রাজীব খান বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ খায়রুজ্জামান ওরফে খাজা ও তার বাহিনী আমার ভাইকে তুলে নিয়ে খুন করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। তিনি বলেন, বিকেল ৪টার দিকে ওবায়দুর মমতাজ ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলে তেল নিতে যান। এ সময় সেখান থেকে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে তাকে তুলে নিয়ে যায় খাজা বাহিনীর লোকজন। আমার ভাইয়ের মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায় তারা। ওবায়দুরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে খেঁাজাখুঁজি শুরু করি। ঘণ্টা খানেক পর জানতে পারি, কে বা কারা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তার চোখ খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং একটি পা ভেঙে দিয়েছে। হাসপাতালে ওবায়দুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হলে পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোছা. তাহিরা বলেন, ওবায়দুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতের মাথায় স্কালপে হেমাটোমা, চোখে আঘাতে রক্তক্ষরণ, বাম পা ভাঙাসহ শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন ছিল। এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ওবায়দুর সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।