এফএনএস লাইফস্টাইল: প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টির চমৎকার উৎস হচ্ছে নানা ধরনের ফল। তবে ফল খেতে হবে সঠিক নিয়মে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুল উপায়ে ফল খেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে শরীরে।
১। বেশিরভাগ ফলেই প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ডিটক্সিফিকেশনের জন্য দুর্দান্ত। ফল খাওয়ার ঠিক পরেই পানি খেলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। এতে অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দেওয়া বিচিত্র নয়। শরীর অতিরিক্ত পানি পেলে কিডনি সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে পারে না। এতে বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফল খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন।
২। দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষিত কাটা ফল খাবেন না। কাটা ফল দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করলে অক্সিডেশনের কারণে পুষ্টি উপাদান কমে যায়। ফল কেটে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন।
৩। সবসময় ফল রস করে খাবেন না। গোটা ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফল রস করে খেলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান এবং ফাইবার হারিয়ে যায়। এমন না যে একেবারেই রস খাওয়া যাবে না। আস্ত ফল এবং রস করে খাওয়ার মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
৪। রাতে ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ফলে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা হরমোনের নিঃসরণ ঘটাতে পারে যা শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়ায়। তাই রাতে ফল খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৫। খাওয়া সম্ভব এমন খোসা ফেলবেন না ফল খাওয়ার সময়। যেমন আপেলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি থাকে। চেষ্টা করুন খোসাসহ ফল খাওয়ার জন্য।
৬। ফল অন্য খাবারের সঙ্গে না মিলিয়ে আলাদা খাওয়াই ভালো। কারণ অন্যান্য খাবারের তুলনায় ফল অনেক দ্রæত ভাঙে আমাদের শরীরে। তাই অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ফল খেলে তা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৭। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, ফলসহ ঠান্ডা খাবার হজম করার জন্য শরীরের অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। এতে বদহজম বা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবসময় ঘরের তাপমাত্রায় থাকা পাকা ফল খান। তথ্য: এনডিটিভি