এফএনএস স্পোর্টস: গত দশ বছরে এশিয়া কাপে তিনবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১২ ও ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপ হলেও ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্ট। এর মধ্যে একবার পাকিস্তান ও দুইবার ভারতের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হতে হয়েছে। এবার আরও একটি এশিয়া কাপ দুয়ারে থাকায় নতুন করে স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে। কিন্তু কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সা¤প্রতিক পারফরম্যান্স আশাবাদী করতে পারছে না অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ দল হারের বৃত্তে আটকে আছে। বিশ্বকাপের পর ১০টি ম্যাচ খেলে হেরেছে আটটিতে। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও প্রথমবার সিরিজ হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে। এই অবস্থায় এশিয়া কাপে বেশি প্রত্যাশা করা বেশ কঠিনই। তবে সাফল্যের সন্ধানে থাকা বিসিবি ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শ্রীধরন শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক করেছে সেই প্রত্যাশা পূরণে। তাহলে কী সাফল্য পাওয়া সম্ভব? দ্বিতীয় দফায় টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব নেওয়া সাকিব আল হাসান জবাবে বলেছেন, ‘আমাদের জন্য কঠিন (ফাইনাল খেলা)। বাস্তব চিন্তা করলে আমরা যদি এই দুটা ম্যাচ ভালো খেলতে পারি এবং আগের যে সিরিজগুলো খেলেছি বা এক দেড় বছরে যে সিরিজগুলো খেলেছি সেখান থেকে উন্নতির ছায়া যদি রাখতে পারি, তাহলে একটা অর্জন হবে এই টুর্নামেন্টে।’ তবে এক প্রশ্নের জবাবে সাকিবের উত্তর থেকেই বোঝা গেলো ঠিক কতটুকু আশান্বিত তিনি, ‘যেই দল আমাদের, উচিত হবে সুপার ফোর খেলা।’ তার পরেও সাফল্য পেতে নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখা জরুরি বলে মনে করেন সাকিব, ‘আমরা যখন এই রুম থেকে বের হবো, সবাই একটা চিন্তা নিয়ে বের হবো, এরকম হলে যেটা হয়- অনেক সময় খারাপ সিদ্ধান্ত ভালো হয়ে যায়। আর যদি এই বিশ্বাস না থাকে, অনেক ভালো সিদ্ধান্তও খারাপ হয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা ড্রেসিংরুমে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, ড্রেসিংরুমের মানুষ সেটা বিশ্বাস করছি কিনা। সবার বিশ্বাস করত হবে এমন কথা নেই। তবে বিশ্বাস না করলে আমরা ওটার পেছনে পুরোপুরি সমর্থন করছি কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা যদি করতে পারি, তাহলে ভালো কিছু করতে পারবো।’ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভাগ্য বদলাতেই সাকিবের কাঁধে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া। যদিও সাকিব মনে করেন, তিনি সব কিছু পাল্টে দিতে পারবেন না, ‘এসেই কিছু বদলে দেবো, আমার মনে হয় না এটা একটা ঠিক চিন্তা। একটা সংস্থা যখন একজনকে দায়িত্ব দেয়, তাঁর নির্দিষ্ট কিছু কাজ থাকে। সেই কাজগুলো করার চেষ্টা থাকবে। এটা না যে পরিবর্তন করতে হবে। এখানে যা আছে, আমার মনে হয় না পরিবর্তন করতে হবে। এগুলোকে কীভাবে ভালোভাবে ব্যবহার করে ভালো রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট পেতে পারি, সেটাই আমার চিন্তা।’