দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার অমানবিক ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকার নিরীহও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যাকান্ড অব্যাহত রেখেছে। গতকালও উত্তরগাজা খান ইউনিস ও রাফা শহরে ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চব্বিশঘন্টায় শতাধীক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর কাছে এই হামলা কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া যেমন নেই অনুরুপ ভাবে পাখি শিকারের ন্যায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হত্যাকান্ডের নির্মমতা হতে রেহাই পাচ্ছে না ফিলিস্তিনি মা ও শিশুরা।দৃশ্যতঃ ইসরাইলের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার ফসল ফিলিস্তিনি মা ও শিশুদের হত্যা করা, তাদের শুপ্ত ইচ্ছা যদি ফিলিস্তিনি মা ও শিশুদেরকে হত্যা করা হয় তাহলে আগামীতে ফিলিস্তিনিদের বংশ বিস্তর ও বৃদ্ধি অনেকাংশে হ্রাসপাবে। এদিকে দখলদার বাহিনী প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করলৌ তারাও গাজা ভু-খন্ডে নিরাপদ নয়। গতকাল০ও হামাস যোদ্ধাদের প্রতিরোধ হামলায় তিন ইসরাইলি সেনার মৃত্যু ঘটেছে এ সময় দখলদার বাহিনীর অন্তত দশসেনা আহত হয়েছে। ইসরাইলি বিমান বাহিনীর একটি বিমান গাজা ভু-খন্ডে হতেনিহত সেনাদের লাশ বহন করে ইসরাইলে নিয়ে গেছে এবং আহতদেরকে নিয়ে ইসরাইলের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এখানেই শেষনয়,দখলদার বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামরিক যান ধ্বংস করেছে হামাস যোদ্ধারা। হামাস যোদ্ধাদেরকে শক্তি খর্ব করেছে এমন প্রচার ও প্রচারনা দিয়ে চলমান ইসরাইলি বাহিনীর বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে হামাস। সংগঠনটি তাদের নিজস্ব টেলিগ্রাফ পোস্টে বলেছে হামাসের শক্তিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী সামান্যতম খর্ব করতে পারেনি। হামাস তার পরিপূর্ণ শক্তি, সামর্থ ও সক্ষমতাকে ধারন করে ইসরাইলি বাহিনীকে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করে চলেছে। এমন কোন দিন নেই যে দিনে হামাসের প্রতিরোধ হামলায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হতাহতের শিকার হচ্ছে না। এদিকে বিশ্বজনমত দিনে দিনে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যাচ্ছে। বিশ্বের দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করে চলেছে এবং ইসরাইল কেনিন্দা জানাচ্ছে। এরই মধ্যে ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। ইউরোপের দেশ অন্যদিকে একই সাথে তিন দেশ ফিলিস্তিনিকেস্বীকৃতি দিতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দৃশ্যতঃ এটাই প্রমান হচ্ছে যে, ইসরাইলের বন্ধু দেশগুলো ইসরাইল হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইউরোপের উল্লেখিত তিন দেশ ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষনা প্রদানকরায় ইসরাইলের সরকারের পক্ষ হতে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। এবং প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে স্পেন নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বৈধতা দিতে চাইছে। টেলিভিশন চ্যানেলটি আরও বলেছে ইসরাইলের নিযুক্তস্পেন ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে তলব করে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছে। এদিকেউত্তর গাজায় গতকাল ও হামাস এবং ইসরাইলি বাহিনীর মাঝে চরম হামলা ও প্রতিরোধ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামাস যোদ্ধাদের অবস্থান উত্তরগাজায় শুন্যের কোঠায় এমন প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছিল দখলদার বাহিনী কিন্তু গত সপ্তাহে আকস্মিক ভাবে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাসের প্রতিরোধ হামলার মুখে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। উল্লেখ্য ইসরাইলি বাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযানে দৃশ্যতঃ উত্তরগাজা মৃত্যু পুরীতে পরিনত হয়েছে ও উত্তর গাজায় অধিকাংশ স্থাপনাকে ধ্বংস করে ছেড়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী, দীর্ঘদিনের বৈরীতায় পূর্ণ ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইরানী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর ইসরাইলের এমন ধারনা ছিল যে, হয়তোবা ইরান ফিলিস্তিনি বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাবে কিন্তু বাস্তবতাহলো ইরান তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বরাবরই এক এবং অভিন্ন। ইরানের পক্ষ হতে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতেও ফিলিস্তিন ও গাজা প্রশ্নে ইরানের অবস্থানের সামান্যতম পরিবর্তন হবে না। এদিকে পশ্চিম মিডিয়াগুলো প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে, কাতার সেদেশে হামাস সদস্যদেরকে বহিস্কার করতে যাচ্ছে এবং কাতারে অবস্থান করা কালীন সময়ে হামাসযোদ্ধারা কোন ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে না। খোদ কাতারের পক্ষহতে এমন খবরের সত্যতা নেই বলেজানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত হামাস নেতারা কাতারে ফিরছে বলে খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ ও হামাসের যৌথ হামলায় ইসরাইলের অভ্যন্তর ভাগে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং উক্ত আতঙ্কের মাঝেই প্রতিনিয়ত হিজবুল্লাহ ও হুতি তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গতকাল ও আল জাবালিয়া আশ্রয় শিবিরে বিমান হামলা পরিচালনা করেছে হামলায় বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে।