দৃষ্টিপাত ডেস্ক॥ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশকরলেও গাজা দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রোজাদার ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতন, নিপিড়ন অব্যাহত রেখেছে। নির্বিচারে রোজাদার ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। ইসরাইল কতটুকু বেপরোয়া এবং অমানবিক হলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে মানতে চাইছে না। বিশ্বশান্তি ও বিশ্ব নেতৃত্বের সংঘটনটির সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় বিশ্বেরদেশগুলো জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। আন্তর্জাতিকবিশ্বে বর্তমান সময়গুলোতে দখলদার ও গনত্যাকারী ইসরাইল একঘরে হতে বলেছে। দেশটির সব ধরনের নিপিড়ন ও হত্যাকান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেনে নিয়ে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলেও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো না দেওয়ার পর থেকে দৃশ্যতঃ ইসরাইলের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের চরম ভাবে অবনতিঘটে। এবং অতীতের য কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময় সম্পর্কের চরম অবনতি। ইসরাইলের বিশ্বাস ও ধারনা ছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবেকিন্তু ইসরাইলের বিশ্বাসের উপর পেরেক মেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানাল দিল যে গাজায় যুদ্ধ বিরতি অপরিহার্য। গতকাল কাতার ভিুিত্তক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পশ্চিম, দক্ষিন গাজায় নির্বিচারে হামলা ও হত্যা করছে,তাদের হামলা থেকে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা রক্ষা পাচ্ছে না। দখলদার ইসরাইলের ইচ্ছা ফিলিস্তিনিদেরকে ধ্বংস করা এবং নিশ্চিহৃ করা বিশ্ব মানচিত্রে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব এবং অবস্থান যেন কোন অবস্থাতেই না থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। ইসরাইলের কতটুকু দুঃসাহস এবং বেহিসেবী যে তারা জাহিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দৃশ্যতঃ ঘাতক বাহিনী এবং ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি সম্পূর্ণ ভাবে অমানবিক ও বর্বর রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত। গতকাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দুই নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। পশ্চিমা মিডিয়া ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে ফিলিস্তিনি সমুদ্র সৈকতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর ট্রাংকের সামনে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পন করা দুই নিরীহ ফিলিস্তিনিকে গুলিকরে হত্যা করেছে দখলদার সেনারা। মিডিয়ার খবের প্রকাশ ফিলিস্তিনি সমুদ্র সৈকতে প্রাতভ্রমান করা দুই ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করার পর বুলডোচার দিয়ে সমুদ্রের বালু উত্তোলন পরবর্তি উক্ত বালুতে পুতে রেখেছে নিহত তথা গুলি করে হত্যা করা দুই ফিলিস্তিনিকে। এদিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের ত্রান সরবরাহের সহযোগিতা বিশেষ ভাবে লক্ষনীয় এবং প্রশংসিত। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জর্দান সহ বুদেশ ও আন্তর্জাতিক সাহায্য, সহযোগিতা সংস্থা সমুহ গাজায় ত্রান সরবরাহ করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজায় ত্রানবাহী যানবাহন আটকিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখায় বিশ্বময় ক্ষোভ প্রকাশ করে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ গাজায় আকাশ পথে ত্রান সরবরাহের কাজ শুরু করে গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে বিমানহতে ফেলানো ত্রানসাগরে পড়লে উক্ত ত্রান সাগর হতে আনতে যেয়ে নয় ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ইতিপূর্বে বিমান থেকে ফেলানো ত্রানে চাপা পড়ে সাত ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। রোজার দিনগুলোতে খাদ্য ছাড়াই সিহরী ও ইফতার করছে ফিলিস্তিনিসরা। পুরো গাজা উপত্যকা ক্ষুধা আর দুর্ভিক্ষের যাতাকলে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সব ধরনের নিপিড়ন ও প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিনই (হাজার হাজার) আল আকসা মসজিদ মুখি হচ্ছে। তারাবি, ইফতার সহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে কেন্দ্র করে আল আকসা মসজিদ আলোয় আলোকিত।