দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চরমবর্বতরা প্রকাশ পাচ্ছে। অমানবিক ইসরাইলি সেনারা কেবলমাত্র বিমান হামলা স্থল হামলা চালিয়েই নিরীহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে তা নয়। দখলদার বাহিনী ত্রান নিতে আসা, প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বাঁচাতে থাকা আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান নেওয়া ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে চলেছে। সপ্তাহব্যাপী দখলদার বাহিনীর হামলা এবং হত্যাকান্ড অতীতের সব ধরনের রেকর্ডকে ভেঙ্গেছে। পরিস্থিতি এতটুকু ভয়াবহ যে উত্তর গাজা, খান ইউনিস ও রাফা শহর কেবল লাশ আর লাশ। চিরচেনা উল্লেখিত এলাকাগুলোতে বসতবাড়ীর ধ্বংসস্তুপের নিচে শত শত ফিলিস্তিনির মৃতদেহ পড়ে আছে। লাশ দাফন করবে এমন ফিলিস্তিনি ও অবশিষ্ট নেই। প্রাণ বাঁচাতে পালাতে চাওয়া,পরিবার পরিজন নিয়ে ঘোড়া, গাঁধা আবার কেউ বা পদব্রজে রাফা শহরে, উত্তর গাজা হতে চলে যাচ্ছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে যে, জীবন রক্ষার তাগিদে নিজ বসতঘর ছেড়ে উর্ধশ্বাসেচলতেথাকা ফিলিস্তিনিরাও জানেনা যে,তারা কোথায় যাচ্ছে,কোথায় চলছে এবং তাদের গন্তব্যই বা কোথায়। দখলদার বাহিনী কোন ধরনের ঘোষনা ব্যতিত উত্তর গাজা ও রাফা শহরের হামলা পরিচালনা করে। ঘর হতে বের হলেও আবার বসতবাড়ী হতে বের না হলেও মৃত্যু পরিস্থিতিটা এমন নিরীহ এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা কেবলমাত্র মৃত্যু স্বাদকেই গ্রহন করছে। হামাসের সাথে ইসরাইলের যুদ্ধ বিরতি আলোচনাচলছিল অন্যদিকে ইসরাইল বাহিনীর বর্বর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে নিজেদেরকে সত্যিকার অর্থে কসাইরুপে আবিস্কার করেছে। হামাস এবং দখলদার বাহিনী যুদ্ধ বিরতি বিষয়ে একমত হইনি। বিশেষ করে হামাসের পক্ষ হতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতিরশর্ত ছিল অন্যতম। মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতা ইসরাইলের একগুয়েমি এবং বেহিসেবেীর কল্যানে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব হলে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজারসর্বত্র ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলার ঘটনা ঘটতে তাকে। মিশরের সাথে দখলদার ইসরাইলি সম্পর্কেল মারাত্মক ভাবে অবনতি ঘটেছে। কারন দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ইতিমধ্যে মিশর সীমান্তসংলগ্ন রাফা শহরের পুরোদমে বিমান হামলার মাধ্যমে রাফা বাসিকে হত্যা করছে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনিরা প্রাণভয়ে মিশরে আশ্রয় গ্রহন করছে। অন্যদিকে মিশর হতে রাফামুখি ত্রানবাহী ানবাহন বন্দ করে দিয়ে ছে দখলদার বাহিনী। ইতিমধ্যে দশহাজার রাফা বাসি মিশরে প্রবেশ করেছে যা মিশরের জন্য বাড়তি ঝামেলা। উল্লেখভ্য মিশর ইসরাইলকে বারবার হুশিয়ারী উচ্চানর করে বলেছে কোন অবসথাতেই রাফায় হামলা যেন করা না হয়। মিশরের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে ইসরাইলের। দীর্ঘ বার দশক যাবৎ ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি বিষয়ে ঐক্যমতে বলে আসছিল কিন্তু মাকর্িৃন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা ছিল ইসরাইল যেন রাফায় কোন ধরনের হামলা পরিচালনা না করে এবং যেভাবেই হোক যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করে। কিন্তু ইসরাইল মার্কিন যুক্তরাষ্টের ইচ্ছার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাফায় হামলা চালাচ্ছে যে কারনে দুই দেশের দীর্ঘ দিনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল দেখাদিয়েছে। মধ্যগাজায় আবারও গণকবরের সন্ধান পেয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। হামাসপ্রধান ইসরাইলি হানিয়া আবারও বলেছে রাফা অভিযান এবং হত্যাকান্ডের জন্য ইসরাইলকে কঠোর এবং কঠিন পরিনতি ভোগ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাত্র বিক্ষোভ থামছে না। নির্যাতন চালিয়েও গ্রেফতার করেও থামাতে পারছে না বিক্ষোভ। আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে ছাত্র বিক্ষোভের পর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিক্ষোভ করছে ইসরাইল বিরোধী ও মার্কিনীতি বিরোধী। টেলিভিশণ চ্যানেলটি আরও জানিয়েছে গতকাল পর্যন্ত অন্তত পঞ্চাশজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ। এদিকে জাতিসংঘ আবারও ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে রাফা এবং উত্তর গাজায় যে হত্যাকান্ড চলছে তা যদি বন্ধকরা না হয় তাহলে পুরো গাজা জনমানবহীন নগরীতে পরিনত হতে বাধ্য। জাতিসংঘ সাধারন অধিবেশনে ১৪৩ ভোটে স্বাীন ফিলিীস্তনি রাষ্ট্র হিসেবে প্রস্তাব পাশ করেছে ইসরালি। এবিষয়েয় জাতিসংঘকে কটাজ্ঞ করে বলেছে জাতিসংঘ সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছে।