এফএনএস বিদেশ : হত্যা ও বিদ্বেষমূলক অপরাধের দায়ে এক মার্কিন ব্যক্তিকে গত শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করেছে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের আদালত। ওই ব্যক্তি ২০২৩ সালের অক্টোবরে ছয় বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি—আমেরিকান শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং তার মাকে মারাত্মক আহত করে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ৭৩ বছর বয়সী জোসেফ জুবা এই হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন। প্রসিকিউটরদের দাবি, এই হত্যার পেছনে মুসলিম বিদ্বেষ কাজ করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর কিছুদিন পরই ওই হত্যাকাণ্ড হয়। নিহত শিশু ওয়াদিই আলফায়োউমি এবং আহত হানান শাহীনের ঘটনা ছিল হামাসের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া হিংসাত্মক ঘটনার প্রথমদিককার এবং নৃশংসতম উদাহরণ। অধিকারকর্মীরা বলেছেন, হামাসের হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষ ও ইহুদিবিদ্বেষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুনানি চলাকালে জুবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন শাহীন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শাহীনের বরাতে জানিয়েছে, হামলার সময় জুবার কথা থেকে প্রমাণ পাওয়া গেছে, এই হামলার পেছনে ধর্মবিদ্বেষের প্রভাব ছিল। সিবিএস শিকাগোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালতের কাছে জরুরি আইনি সহায়তা ৯১১—এর একটি কল রেকর্ড উপস্থাপন করেন আইনজীবীরা। সেখানে শাহীনকে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে বলতে শোনা গেছে, বাড়ির মালিক আমাকে ও আমার সন্তানকে মেরে ফেলছে। ওই ঘটনার পর আরও দুটি ঘটনায় মার্কিন ভূখণ্ডে আরব ও মুসলিম বিদ্বেষের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। এরমধ্যে একটি ছিল তিন বছরের এক ফিলিস্তিনি—মার্কিন শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা চেষ্টা এবং ফিলিস্তিনি—মার্কিন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা। দুটো ঘটনাই ছিল রক্ষণশীল টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। একই সময়ে, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি ও নিউইয়র্কে একটি ইহুদি কেন্দ্রের ওপর পরিকল্পিত হামলার প্রচেষ্টা ইহুদিবিদ্বেষের আশঙ্কাও বাড়িয়েছে।