দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলের দখলদারিত্ব আর গণহত্যার বিরুদ্ধেপুরো বিশ্ববাসি একত্বতা প্রকাশ করেছে আবারও তার যথাযথ প্রমান মিলেছে জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে। গত শুক্রবার জাতিসংঘের সকলসদস্য রাষ্ট্রের উপস্থিতিতে অধিবেশনে ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেলো। অধিবেশন শুরুর পর ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪৩ ভোট পড়ে এবং বিপক্ষে পড়ে ৯ ভোট অন্যদিকে ২৫ সদস্য রাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থাকে। সর্বশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রদৌলতে ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায়। কিন্তু বরাবরের ন্যায় আবারও ইসরাইল নামক মানবতা বিরোধী দেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোটদান করে। ইসরাইল নাম বর্বর দেশটির স্থায়িত্ব এবং প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো ১৯৪৮ সাল থেকে ইমনে প্রাণে কাজ করছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিপক্ষে ইসরাইলের দোসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের হিংস্র মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নেতৃবৃন্দ মিশরের কায়রোতে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে ইসরাইলে ফিরে গেছে অন্যদিকে যুদ্ধ বিরতি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া সব অপরাপর নেতারা কায়রো ত্যাগ করে বর্তমান সময়ে কাতারে অবস্থান করছে। দখলদার বাহিনীর সদস্যরা আবারও হামাস যোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়েছে। কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন পশ্চিমা মিডিয়া এএফপি, রয়টার্স সহ ওয়াশিন টন পোস্ট জানিয়েছে রাফায় দখলদার বাহিনীর একটি অবস্থানের উপর হামাস যোদ্ধারা ব্যাপক ভিত্তিক গোলাবর্ষন করলে ঘটনাস্থলেই চার ইসরাইলি সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এখানেই শেষ নয় হামাসের হামলায় বিপুল সংখ্যক ইসরাইলি দখলদার সেনা মারাত্মক ভাবে আহত হয়। মিডিয়াগুলো বলছে ইসরাইলের সামরিক হেলিকপ্টার গুলো রাফায় আহত সেনাদের বহন করে নিয়েগেছে। চার ইসরাইলিসেনার নিহতহওয়ার বিষয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিন্তু না জানালেও তারা বলেছে গাজা যুদ্ধ অত্যন্ত জটিল আকার ধারন করেছে। হামাস যোদ্ধাদের নিজস্ব টেলিগ্রাফ পোস্টে তারা জানিয়েছে ইসরাইলি সেনা ভর্তি একটি ভবনে হামাস যোদ্ধারা কাঁধেবহনযোগ্য ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে চার দখলদার সেনাকে হত্যা করেছে একই সাথে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি পদাতিক এবং সাজোয়া ক্যারিয়ারকেও ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। হামাস যোদ্ধারা রাফা শহরের একটি মাইনফিল্ডেও হামলা চালিয়েছে উক্ত হামলায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর মর্যাদা আর গর্বের প্রতিক তিনটি ট্রাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একই সাথে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা চালিয়ে তাদের সুফা সামরিক ঘাঁটি ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ইসরাইলি বাহিনীর একজন মুখপাত্র হিব্র“ মিডিয়াকে জানিয়ে রাফার অনেক এলাকাতে ইসরাইলি সেনাদের সাথে হামাস যোদ্ধারা হাতাহাতি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গাজায় হামাস সন্ত্রাসীদের চব্বিশটি ব্রিগেডেরমধ্রে আঠারটি বিগ্রেড ধ্বংস করেছে। হামাসেরএকনৌ কমান্ডারকেও হত্যা করার কথা বলেছে ইসরাইল। হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে কোন অবস্থাতেই দখলদার বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের কোন ঘাঁটি এবং সুড়ঙ্গ ধ্বংসকরতে পারেনি। আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে দখলদার বাহিনী খান ইউনিস ও রাফা শহরের পাশাপাশিগাজার বেইত লাহিয়া,মধ্য এলাকার গাজা সিটিমাগাজি শরনার্থী শিবির,আল মুখরাকা ও খান ইউনিসের সন্নিকটের আবাসন এলাকাতে ব্যাপক ভিত্তিক হামলা চালিয়েছে এদিকে হুতি যোদ্ধারা সাগরে আবারও পাঁচ ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালিয়েছে, হুতির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়া জানিয়েছে হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে এসএমসি দিয়েগো, এমএসসি গিনা সহ পাঁচটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। জাহাজ গুলোর সবই ইসরাইল সংশ্লিষ্ট। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে দক্ষিন আফ্রিকার মামলা তুলে নিতে আরব আমিরাত প্রচেষ্টা করছে যা মেনে নেইনি দক্ষিন আফ্রিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছে দিনেদিনে বিস্তৃত হচ্ছে। হামাস নেতারা বিশেষ করে ইয়াহিয়া রাফায় নেই গাজার অন্য কোন এলাকাতে অবস্থান নিয়ে দখলদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তেল আবিবে আবারও বিক্ষোভ। হামাসের হাতে বন্দী ইসরাইলি নাগরিক দেরকেউদ্ধার না করতে পরার ব্যর্থতা নেতানিয়াহু সরকারকে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।