শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিন আগ্রাসনে অস্ত্রদাতাদের দেশেই স্বাধীনতার আওয়াজ উঠেছে: সাদ্দাম

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

এফএনএস: ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের জন্য যারা অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছেন, তাদের দেশ থেকেই দুর্বার আন্দোলনের জয়ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েছে। যারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার বিপক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়েছেন, সে দেশের তারুণ্য স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন। গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি এ কথা বলেন। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে ফুলার রোড, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত পদযাত্রা করে সংগঠনটি। এ সময় ‘ফিলিস্তিন মুক্ত কর’, ‘গণহত্যা বন্ধ কর’সহ ফিলিস্তিনের পক্ষে নানা স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু। এছাড়া বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ইসহাক আহমেদ ও আব্দুল্লাহ বাদাউইয়ি বক্তব্য রাখেন। সাদ্দাম হোসেন বলেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল ও বাক-স্বাধীনতার সনদ দেয়, সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আটক ও অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সেখানে আন্দোলনের কারণে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আন্দোলনের কারণে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসাইন্স বিভাগের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গণহত্যার বেদনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জানে। স্কুলে-হাসপাতালে হামলা করে নারী ও শিশুদের হত্যা করে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। বিশ্বমোড়লদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কবে ইসরায়েলের হামলাকে ‘গণহত্যা’ স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সমাবেশে কলম্বিয়াসহ বিশ্বব্যাপী আন্দোলনরত শিক্ষর্থীদের প্রতি আনুষ্ঠানিক সংহতি জানিয়ে স্মারকলিপি পাঠ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি। মজাহারুল কবির শয়ন বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের দুর্দশা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি। টানা ৭৫ বছরের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর ভিন্ন জাতি ধর্ম, বর্ণের শিক্ষার্থীরা আজ এক হয়েছে। তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে হাসপাতালে বোমা বর্ষণের মতো নৃশংসতা দেখিনি। পৃথিবীর যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তারা আমাদের ভাই। আমেরিকা ও ইসরায়েলের নাগরিক হয়েও যেসব শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছেন, তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com