বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী মঙ্গলবার বিকেলে খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে অনুষষ্ঠিত হয়। সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মিজ আকতারী মমতাজ। প্রধান অতিথি বলেন, বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ এক বিস্ময়কর প্রতিভা। বাংলা সাহিত্যকে তিনি বিশ^পরিমন্ডলে তুলে ধরেছেন। শুধু সাহিত্যই নয়, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর পদচারণা। চিত্রশিল্পী, সংগীতকার, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার এবং অভিনয়ে সমান দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার মানস গঠনে রবীন্দ্রনাথের অবদান চিরস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর সাহিত্যকর্ম আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। ররীন্দ্রনাথ শুধু বাঙালির নয়, বিশ্ব নন্দিত এক সাহিত্য মহাপুরুষ। নবীন প্রজন্মের অন্তরে রবীন্দ্রনাথকে ধারণ ও লালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও বরীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক অসিতবরণ ঘোষ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কার্তিক চন্দ্র বিশ^াস, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সচিব রাজীব সরকার ও খুলনা প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক মিজ আফরোজা খান মিতা। খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ সাদিয়া আফরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরে শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। -তথ্য বিবরনী