বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন মুহাদ্দিস রবিউল বাসার শ্যামনগরে বিএনপি’র দু—গ্রুপের সংঘর্ষ,রণ ক্ষেএ, ১৪৪ ধারা জারী, ভাংচুর,সদস্য সচিব অবাঞ্চিত ঘোষনা,সেনা পুলিশ উপস্থিতি রংপুর বিভাগে আবারও শৈত্যপ্রবাহ, বেড়েছে শীতজনিত রোগ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম রপ্তানি পণ্যে হিসেবে নতুন মাত্রা যোগ করেছে কৃষিপণ্য খুলনা সদর থানার ওসির অপসারণ দাবি বিএনপির হাসিনার আমলে লুট হয় ১৭ বিলিয়ন ডলার ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতিকে ড. ইউনূস অপরাধের দায় স্বীকার না করে আ. লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: প্রেস সচিব

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হতো, তাহলে দেশের দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হতো যে, কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। গত শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন শফিকুল আলম। জুলাই বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা দেশে চোরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। অর্থের বিনিময়ে বড় বড় কোম্পানিকে কাজ দেওয়াই ছিল তার কাজ। সে সময় পাচার করা অর্থ দিয়েই এখন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পাচারকারীরা। প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি। পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়। আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। গণমাধ্যমের ভাষা ব্যবহার করে তখন শাসকদের কাছে বার্তা দেওয়া হচ্ছিল এ আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত। জুলাইয়ের মতো মহৎ সময় আমাদের আগে কখন আসেনি। আমাদের সাংবাদিকরা ১৯৭১ এর যুদ্ধ কতটুকু দেখেছে আমি জানি না। আমাদের এক কোটি লোক শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। এদের মানবেতর জীবন ও দুঃখ—দুর্দশা নিয়ে খুব কমই লেখা পাওয়া যায়। এসব নিয়ে আমরা স্টোরি করিনি। আমাদের রাইটিংয়ের অভ্যাসটা খুব কম। লেখার অভ্যাস বাড়াতে হবে। অনুষ্ঠানে জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন কিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এছাড়া অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জবি সাংবাদিক সমিতির সহ—সভাপতি আসাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com