দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ মানুষ কি কখনও মানুষহত্যাকরতে পারে তাও নির্বিচারে যেন পিপিলিকা হত্যা। অভূক্ত মানবতাকে হত্যা, ক্ত আর নির্মমতাই যেন গাজাবাসির পবিত্র রমজানের দিনগুলোর সঙ্গী। একদিকে দখলদার ইসরাইল বাহিনীর যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা অন্যদিকে বিমান হামলা, বোমা হামলা আর গুলি বর্ষন করে রোজাদার ফিলিস্তিনিদেরকে হত্রা এ যেন আধুনিক সভ্যতার বিরপরীতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। বিশ্বমোড়ল তথা বিশ্ব নেতৃত্ব অবলিলায় ইসরাইলি হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করছে অথবা সহযোগিতা ও সমর্থন জানাচ্ছে। নিজ ভূমিতে পরবাসি ফিলিস্তিনিরা ছয় রোজা শেষ, গতকাল ছয় রোজার দিনেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে রাফা বাসিকে হত্যা করেছে। অভূক্ত অবস্থায় রোজা পালনকারী ফিলিস্তিনিদের উপর গুলি বর্ষনের রক্তস্রোতও রাফার সড়ক গুলো লাল হয়ে পড়ে কোন অবস্থাতেই দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনিদেরকে বাঁচতে দিতে না। বিশ্বমানচিত্র হতে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহৃ করনের যেন মহাউৎসব শুরু করেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মমতার শেষ নেই। তাদের বর্বরতা কেবল ফিলিস্তিনিরা প্রত্যক্ষ করছে তা নয় বিশ্বের শত শতকোটি মানবতা দেখে চলেছে দখলদার ইরসাইলি বাহিনীর বর্বরতা গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিমন চ্যানের আল জাজিরা বলেছে রাফা শহরের পাশাপাশি রামাল্লা, জেরুজালেম, উত্তর ও পশ্চিম গাজাতেও দখলদার বাহিনী ব্যাপক ভাবে বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। গাজার প্রাচীন তম ও আধুনিক জামানার মসজিদ গুলোর অস্তিত্ব নেই। প্রতিটি মসজিদের উপর দখলদার ইসরাইল বাহিনীর বিমান হামলা,মসজিদগুলো মাটির সাথে মিশে আছে। আশ্রয়হীন ফিলিস্তিনিরা মসজিদ গুলোর ধ্বং স্তুপের মাঝে নামাজ আদায় করছে এবং ইফতারের আয়োজন করছে। দখলদার বাহিনী সব ধরনের নিপিড়ন এবং নির্যাতন ও কাড়াকাড়িকে ব্যর্থ করেছে ফিলিস্তিনিরা, সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে পিছে ফেলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আল আকসা মসজিদে অবস্থান নিয়ে নামাজ আদায় করছে। আল জাজিরা টিলিভিশন জানিয়েছে প্রতিদিনই হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আল আকসায় নামাজ আদায় করছে। গত শুক্রবার মহা পবিত্র আল আকসা মসজিদে লক্ষাধীক ফিলিস্তিনি জুম্মার নামাজ আদায় করেছে। গতকাল আল জাজিরা এক লোমহর্ষক ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রচারিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় গণহত্যার পাশাপামি নির্বিচারে গণগ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে এবং গ্রেফতার কৃত ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইলের কারাগারে নির্মম নির্যাতন, নিপিড়নের পাশাপাশি বন্দীদের উপর কুকুর লেলিয়ে দিচ্ছে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী। লোহার খাচায় বন্দীদের রাখা হচ্ছে এবং তাদের শরীরে ইলেটকট্রিক শকদেওয়া হচ্ছে। নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে অনেক ফিলিস্তিনি বন্দী মৃুত্র বরন করছে। দীর্ঘদিন যাবৎ হামাসঅভিযোগ করে আসছিল যে ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন পরিচালনার। গতকাল আল জাজিজরার প্রতিবেদন হতে নির্যাতনের চিত্র আরও স্পষ্ট ও সত্য প্রমানীত হলো। সম্প্রতি ইসরাইলের কারাগার হতে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা এমন লোমহর্ষকও র্বর চিত্র প্রকাশ করেছে। এখানেই শেষনয় নারী ও কিশোরী বন্দীদের উপর ইসরাইলি সেনা, পুলিশ ও কারারক্ষীলা যৌন নির্যাতন করে চলেছে। এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা এবং যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ইহুদী নেতাদেরমাঝে মতবিরোধ এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন আলোচিত ইহুদী নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদী নেতা চাক শুমার গতকাল প্রকাশ্য বিবৃতিতে বলেছে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাঁধা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এদিে গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইসরাইলকে এবার নারী ও শিশু হত্যাকারী হিসেবে নিহত করে বলেছেন অবশ্যই নারী ও শিশু হত্যার জন্য ইসরাাইল ও তার প্রধানমন্ত্রী নেতানয়িাহুকে জবাবদিহি করতে হবে। এদিকে জাতিসংঘ গাজায় ইসরাইলি হামলাও গণহত্যার বিরুদ্ধে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন ইসরাইলকে যুদ্ধ বিরতির দিকেই অগ্রসরহওয়া উচিৎ। গতকালও গাজায় জাতিসংগের তত্ত্বাবদানে পরিচালিত ত্রানও ইফতার সামগ্রী গ্রহন কারী ফিলিস্তিনিদের উপর বিমানহামলা পরিচালনা করলে উনিত্রিশ ক্ষুধার্ত। অভূক্ত ফিলিস্তিনি নিহতহয় এবং ত্রান কার্যক্রম তদারকি করা জাতিসঘের পাঁচ কর্মি ও নিহত হয়। এদিকে হুতিদের লেহিত সাগরে অবস্থান ও ইসরাইলি সশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা পরিচালনা চলছে।