এফএনএস: উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি ও বন্যায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে এ পর্যন্ত ১২ জেলার ৬৪ উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এর মধ্যে সবচেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ১২২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের বন্যা ও পাহাড়ি ঢল। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সঙ্গে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন’র নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে আসেন। সাক্ষাতের সময় সিলেট বিভাগসহ সারাদেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি, উদ্ধার কার্যক্রম এবং আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষজনের কাছে শুকনো ও রান্না করা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা। এ সময় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন অতিথিদের কাছে। এ পর্যন্ত দেশের বারো জেলার ৬৪ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে উলেখ করে তিনি বলেছেন, এবারের বন্যায় সিলেটের ৬০ শতাংশ প্লাবিত হয়েছে। আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পানিতে ডু্বে গেছে। মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড ,নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি,বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সসহ স্থানীয় প্রশাসন একসঙ্গে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় শুকনো ও অন্যান্য খাবার ছাড়াও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে যা দিয়ে স্থানীয়ভাবে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট ইত্যাদি কিনে সরবরাহ এবং রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ইউনিসেফ প্রতিনিধিরা বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ পানির বোতল, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং শুকনো খাবার সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের বিষয়ে তারা কাজ করবেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক উপস্থিত ছিলেন।