এফএনএস: দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর বন্যা মধ্যাঞ্চলেও ছড়াতে পারে। তবে রংপুর (উত্তরাঞ্চল) ও সিলেটের (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি আগামী সপ্তাহ (জুনের চতুর্থ সপ্তাহ) থেকে উন্নতির দিকে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। গত শুক্রবার রাতে বন্যা পূর্বাভাস সম্পর্কিত বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও পাবনা জেলায় ৭ থেকে ১০ দিন মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলায় ৫ থেকে ৭ দিন মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে জুন মাসের চতুর্থ সপ্তাহের প্রথম ভাগে বৃষ্টিপাত কমে ওই অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। জুন মাসের তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মধ্যাঞ্চলের রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়। এদিকে, জুন মাসের চতুর্থ সপ্তাহের প্রথম ভাগে বৃষ্টিপাত কমে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে গত শুক্রবার জানিয়েছিলো পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এসব অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে এরইমধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমের সিলেট অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। ঘর-বাড়ি ও রাস্তা-ঘাটসহ ডুবে গেছে বিভিন্ন স্থাপনা।