এফএনএস: বরিশালে যুবদল নেতা হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বাড়িতে ফের আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। গত সোমবার রাতে নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহীন হাওলাদারের বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় আগুন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন। এর আগে রোববার রাতে কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া কুপিয়ে জখম করা হয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নয়ন গাজীকে। এ ঘটনার পর ওই রাতেই প্রথম দফায় প্রধান অভিযুক্ত ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহীন হাওলাদারের বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা। বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন বলেন, গত সোমবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পেঁৗছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে যুবদলের নেতা মো. সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত সোমবার বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানায় সুরুজের ভাই শাহীন গাজী মামলা করেছেন। মামলায় নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহীন হাওলাদারসহ নামধারী সাতজন ও অজ্ঞাতনামা আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে। কাউনিয়া থানার ওসিনাজমুল নিশাত জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রথমে তর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এক পক্ষ আরেক পক্ষের দুজনকে কুপিয়েছে। এদের মধ্যে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ—কমিশনার রিয়াজ হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আগুন দেওয়াও একটি অপরাধ। অভিযোগ পেলে এটিও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে সুরুজকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।