শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি করলেন মডেল মেঘনা বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু রোববার আবার বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী খেলোয়াড় দেবহাটার ঘরে ঘরে ছাগল পালন বাণিজ্যিক ভাবে চলছে চাষ \ খামার দেখভালে এগিয়ে মা বোনেরা শ্যামনগরে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার দায়িত্বহীনতায় ১২ শিক্ষক অব্যাহতি মাহফিলের টাকা গ্রহণ করে বক্তা না আসায় আদালতে মামলা

বর্ষায় ভ্রমণে মাথায় রাখুন যে ৮ বিষয়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: আকাশ ভেঙে নেমেছে বর্ষা। এ সময় দাবদাহ বেশ কমে যায়। আরামদায়ক আবহাওয়া উপভোগ করতে অনেকেই ছোটেন সমুদ্রে কিংবা পাহাড়ে। বর্ষার রূপ উপভোগ করতে ভ্রমণে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।
১। বাড়তি পোশাক রাখুন সঙ্গে
এক পশলা বৃষ্টি মনে আনন্দের দোলা দিয়ে গেলেও চুপসে যাওয়া পোশাক নিয়ে পড়তে পারেন বিড়ম্বনায়। কারণ সবখানে পোশাক শুকানোর মতো ব্যবস্থা থাকে না। আবার টানা বৃষ্টি হলে পোশাক শুকানোও বেশ মুশকিল। সঙ্গে তাই কয়েক সেট পোশাক বাড়তি রাখা জরুরি।
২। মোটা ফেব্রিকের পোশাক নয়
সুতির মতো ভারী তন্তুর পোশাক বর্ষাকালের উপযোগী নয়। বৃষ্টির সময় এমন পোশাক বেছে নেওয়া উচিত যেগুলো দ্রæত শুকিয়ে যায় বাতাসে। সিল্ক, জর্জেট, লিনেন, ভিসকস, হাফসিল্ক বা শিফনের পোশাক নিয়ে যেতে পারেন এই সময়। খুব হালকা রঙের বদলে গাঢ় রঙকে প্রাধান্য দিন পোশাকের ক্ষেত্রে। এতে ভেজা ভাব বোঝা যাবে না সহজে।
৩। বর্ষার অনুষঙ্গ রাখুন সঙ্গে
ছাতা, রেইনকোট সঙ্গে নেবেন অবশ্যই। এতে বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই ঘুরতে পারবেন পছন্দের জায়গায়। ওয়াটারপ্রæফ স্নিকার্স অথবা বুট ব্যবহার করতে পারেন।
৪। ব্যাগে পলিথিন রাখবেন অবশ্যই
হঠাৎ বৃষ্টি থেকে ফোন কিংবা ক্যামেরা বাঁচাতে অবশ্যই পলিথিন সঙ্গে রাখবেন। এ ছাড়া ব্যাকপ্যাক ঢেকে রাখার জন্য বড় আকারের পলিথিন নিতে পারেন। পলিথিন থাকলে ভেজা কাপড় আলাদাভাবে নিয়ে রাখতে পারবেন সুটকেসে।
৫। বিশুদ্ধ পানি রাখবেন সঙ্গে
বর্ষার সময় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ ছাড়া সবখানে বিশুদ্ধ পানি পাওয়াও যায় না। তবে দূরের যাত্রায় একসঙ্গে খুব বেশি পরিমাণ পানি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভ্রমণে গিয়ে বাইরের পানি না খেয়ে মিনারেল ওয়াটার কিনে খেতে পারেন।
৬। প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন সঙ্গে
পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি এই সময় ঠান্ডা, জ¦র, সর্দি, কাশির মতো ওষুধ দেখা দেয়। তাই জ¦র, ব্যথা কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখবেন।
৭। মশা ও জোঁক থেকে বাঁচতে প্রস্তুতি রাখুন
বর্ষার সময় মশার উৎপাত বেড়ে যায় প্রচÐ রকম। এ ছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর মশা থাকে। মশা তাড়াতে অডোমস লোশন বা স্প্রে রাখতে পারেন সঙ্গে। বিভিন্ন ধরনের রোলঅন বা সুগন্ধিও পাওয়া যায় মশা তাড়ানোর জন্য। রাখতে পারেন এগুলোও। বর্ষায় পাহাড় ও জঙ্গলে গেলে জোঁক তাড়ানোর জন্য লবণ সঙ্গে রাখবেন।
৮। পাহাড় ও ঝর্নায় গেলে সাবধানতা জরুরি
বর্ষার সময় হিং¯্র হয়ে ওঠে পাহাড়ি ঝরনা, পাহাড়ি নদীতে বেড়ে যায় ¯্রােত। পাহাড়ও হয়ে পড়ে পিচ্ছিল। পাহাড় বা ঝরনা ভ্রমণে গেলে তাই সাবধানতা জরুরি। ঝরনার খুব বেশি কাছে যাবেন না কিংবা নদীতে নামবেন না। ট্রেকিং সু পরে নেবেন পাহাড়ি রাস্তায় যেতে চাইলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com