বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্প বিশেষ এবং কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। বছরের পর বছর আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্রে গার্মেন্টস সামগ্রীর পাশাপাশি চিংড়ী শিল্প সেই সাথে বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করে চলেছে। গার্মেন্টস সামগ্রী, চিংড়ী শিল্প সেই সাথে বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে নানান ধরনের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ, ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অধিকতর ভূমিকা পালন করে চলেছে কৃষি পণ্য তথা খাদ্য শষ্য, নানান ধরনের সবজি, রবিশষ্য। বাংলাদেশ সা¤প্রতিক বছর গুলোতে বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করছে শিল্প সামগ্রী, বিপুল পরিমান উৎপাদিত শিল্প পণ্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানীর মাধ্যমে দেশ শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। বিশ্ব বাজারে আমাদের দেশের উৎপাদিত শিল্প সামগ্রী অত্যাধিক চাহিদার ক্ষেত্র নিশ্চিত করেছে। আমাদের দেশের অর্থনীতির সুতিকাগার হিসেবে সা¤প্রতিক সময়ে বিশেষ ভাবে আলোচিত। আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিশ্বের অপরাপর শিল্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হতে বিশেষ ভাবে উন্নত। একদা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীন প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ইতিপূর্বে বিশ্ব বাজার হতে আমদানী করতে হতো কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে আমাদের দেশের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে। দৃশ্যতঃ বাংলাদেশ কেবল তার প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমদানী করতো তা নয় আমাদের দেশ আমদানী কারক দেশের তালিকায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিল। আন্তর্জাতিক ভাবেও বাংলাদেশ রপ্তানী কারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশের কৃষি এবং শিল্পই রপ্তানী পণ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে আর এই পন্য সামগ্রীর কল্যানেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের তালিকায় তথা মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা যে ভাবে ঘুরছে তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী দিন গুলোতে উৎপাদন অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা দেশ বাসির।