মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটায় তারুণ্যের উৎসব উদ্বোধন সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুনামেন্টের আলো ছড়ানো উদ্বোধন \ প্রথম খেলায় হাসলো দেবহাটা বালিকা দল দেবহাটায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী নিশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় তারুণ্য উৎসবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় তারুণ্যের উৎসব’২৫ উদযাপিত সাতক্ষীরায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট উদ্বোধন লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলে মৃত্যু ২৪ সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাংবাদিক মিজানুর আশাশুনি পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ভূমি ব্যবহার, কৃষির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা (১)

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩

খুলনা প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম খাত কৃষি এবং দেশের জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ কৃষক। কৃষি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল ও অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এবং জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের প্রধান পেশা। খাদ্য নিরাপত্তা, কর্ম সংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালু রাখতে এই খাতের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ দেশের খাদ্য শস্যের চাহিদার প্রায় ৯৫% সরবরাহ করেন এদেশের কৃষক। কিন্তু এই গরিষ্ঠ সংখ্যক কৃষক তার নিজের চাহিদা পূরণ করতে পারে না বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে, বিশেষ করে চাষযোগ্য ভূমি স্বত্বের অভাবের কারণে। ২০০৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের ২,৮১,৬৫,৭০০ পরিবারের মধ্যে ৫৩.৫৭% পরিবারের চাষযোগ্য জমি আছে এবং অবশিষ্ট ৪৬.৬৩% পরিবারের চাষযোগ্য কোন জমি নেই। যাদের চাষযোগ্য জমি আছে তাদের মধ্যে ৩৮.৬৩% পরিবার প্রান্তিক কৃষক (০.০২-০.২০ হে:), ৪৯.৮৫% ক্ষুদ্র কৃষক (০.২১-১.০ হে:), ১০.৩৪% মাঝারি কৃষক (১.০ হে: এর বেশী থেকে ৩.০ হে: এর কম) এবং অবশিষ্ট ১.১৭% পরিবার বড় কৃষক (৩.০ হে: এর অধিক) পরিবারের আওতাভূক্ত। প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারগুলো একত্রে দেশের মোট কৃষক পরিবারের ৮৮.৪৮% হলেও তাদের মালিকানাধীন চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাত্র ৩৬.৩০%। অন্যদিকে দেশের মাত্র ১১.৫১% মাঝারি এবং বড় কৃষক পরিবারগুলোর মালিকানায় রয়েছে দেশের মোট চাষযোগ্য জমির ৬৩.৩৭%। ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক স্বীয় অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্যে নিজের জমিতে চাষ করার সাথে সাথে অন্যের জমি বর্গা বা লীজ নিয়ে চাষ করেন; কখনও শ্রমিক হিসেবেও অন্যের জমিতে কাজ করেন। ক্ষেতমজুর নাকি কৃষক – এই পরিচয় সুস্পষ্ট করার ক্ষেত্রে যা দ্বন্দের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে কঠোর বাস্তবতা হচ্ছে, যেসব কৃষি পরিবারে অকৃষি খাতের কোন আয় যোগ হয়না তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছিটকে পড়ে কৃষিকাজ থেকে, যা কৃষিতে নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে থাকে। আবার কৃষিতে বৃহৎ পুঁজি বিনিয়োগ শুরু হয়েছে এবং বানিজ্যিক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষি জমি ইজারা নিয়ে বিনিয়োগ করছে। কৃষিজমিতে মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার তৈরী এবং হাউজিং ব্যবসার অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৩ তে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ১% শতাংশ হারে হ্রাস পাচ্ছে। এসব কিছুই কৃষকের ভূমি মালিকানা স্বত্ব ও ভূমি ব্যবহারে পরিবর্তন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে একথা বলা যায়। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে পুঁজির প্রবাহ বৃদ্ধি পেলেও কৃষক ভালো আছে একথা কেউ বলতে পারছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com