বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। আমাদের দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদ নদী। দেশের সৌন্দর্য্য এবং পরিবেশ রক্ষায় অসাধারন ভূমিকা পালন করে চলেছে নদ নদী। বাংলাদেশের যাতায়াত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় নদ নদী কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ জীবন জীবিকার জন্য নদীর উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে যাতায়াত, যোগাযোগ এবং মৎস্য সম্পদ আহরন করে চলা জনজীবনের জন্য নদ নদী আর্শীবাদ। যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য নদী ব্যাপক ভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে চলেছে। তবে সা¤প্রতিক বছরগুলো আমাদের নদী যাতায়াত ব্যবস্থায় যথাযথ ভূমিকা পালন করলেও নদী পথের দূর্ঘটনা থেমে নেই। প্রায় সময় নৌ দূর্ঘটনা আর মৃত্যুর খবর, নদীতে সলিল সমাধির শেষ নেই। অতি স¤প্রতি বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার সুগন্ধি নদীতে একটি যাত্রীবাহি লঞ্চ আগুনের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে চলিশজনের অধিক যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কেবল সুগন্ধার কবলে সলিল সমাধির ঘটনা ঘটেছে তা নয় দেশের বিভিন্ন নৌ রুটে অবিরাম দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় নদ নদী উৎপাদন ব্যবস্থায় বিশেষ করে কৃষি উৎপাদনে কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকারী দেশ, আর এজন্য নদ নদী গুলোর ভূমিকা সর্বাধিক। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় শষ্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত কপোতাক্ষ নদের আর্শীবাদে কৃষি উৎপাদন ব্যাপক ভাবে এগিয়ে চলার দীর্ঘপথ পরিক্রমা চলমান। কিন্তু গত কয়েক বছর কৃষকরা, কৃষি উৎপাদনে কপোতাক্ষের পানি পূর্বের তুলনায় পাচ্ছে না। আর এ জন্য দৃশ্যতঃ কপোতাক্ষের যৌবন হানীর বিষয়টি বিশেষ ভাবে আলোচিত। দেশের বিপুল সংখ্যক নদ নদীর নাব্যতা পূর্বের ন্যায় বর্তমানে অনুপস্থিত। নদী ভাংগন, নদী জায়গা দখল দূষণ থেমে নেই। নদ নদীর স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমেই কেবল মাত্র নদ নদীর আর্শীবাদ অব্যাহত রাখা সম্ভব।