বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে পরিচিতি পেলেও দৃশ্যত: আমাদের দেশ সা¤প্রতিক বছর গুলোতে কৃষি পাশাপাশি শিল্পে বিশেষ এবং যথাযথ উন্নয়ন সাধন করেছে। বাংলাদেশ উৎপাদিত কৃষি সামগ্রী ও পণ্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে চলেছে। উৎপাদিত খাদ্য শষ্য, রবি শষ্য সহ সবজি রপ্তানীর ঘটনা এই প্রথম নয়, দীর্ঘ বছর যাবৎ আমাদের দেশ তার উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী কেবল রপ্তানী করে তা নয়, আমাদের অভ্যন্তরীন চাহিদা পুরনের ক্ষেত্রে কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকারী দেশ হিসেবে নিজেকে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছে যে কারনে বহিঃবিশ্বে তথা আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে যেমন পরিচিতি পেয়েছে অনরূপ ভাবে কৃষি পণ্য ও সামগ্রী রপ্তানী কারক দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। কৃষি উৎপাদনের বিষয়টি বিশ্ববাসি অবগত হলেও আমাদের শিল্প উৎপাদন ও উৎপাদিত শিল্প সামগ্রী বিশ্ব বাজারে রপ্তানীর বিষয়টি খুব বেশী অবগত নয়। তবে আমাদের শিল্প সামগ্রী যে সকল দেশে রপ্তানী হয় সে সকল দেশগুলো ইতিমধ্যে অবহিত যে বাংলাদেশ শিল্প উৎপাদনে এগিয়ে চলেছে একই সাথে বাংলাদেশের উৎপাদিত শিল্প বিশ্ব বাজারে চাহিদার ক্ষেত্র ব্যাপক ভাবে নির্মান করেছে। বাংলাদেশ তার উৎপাদিত শিল্প সামগ্রী বিশ্ব বাজারে প্রতি বছর রপ্তানী পরবর্তি বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। বর্তমান পর্যায়ে আমাদের দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্রে শিল্প রপ্তানী অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উৎপাদনে, বানিজ্যে ও অর্থনীতিতে বর্তমান সময়ে বিশেষ প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়লেও আমাদের দেশের শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানী বানিজ্যে তেমন প্রভাব পড়ছে না। এবারের শীত ব্যাপক ভাবে প্রকোপ ছড়ায় উৎপাদনে কিছুটা হালেও বিরুপ প্রভাব পড়ে। বর্তমান সময়ে শীতের প্রভাব কিছুটা কমে যাওয়ায় উৎপাদনে গতি ফেরার পাশাপাশি স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে এবং উৎপাদনে এগিয়ে চলেছে। কৃষি এবং শিল্প এই দুই মাধ্যম স্ব স্ব অবস্থান বজায় রাখলে দেশের অর্থনীতি সুসংহত থাকবে।