বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, আমাদের দেশের মাটি উর্বর আর এ কারনে এই দেশের মাটিতে কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য বিশেষ সহায়ক। বছরের পর বছর এই দেশের কৃষকরা সোনার ফসল উৎপাদন করে আর উৎপাদিত কৃষি পণ্য, খাদ্য মষ্য দেশের খাদ্য চাহিদার পুরনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমাদের দেশ দৃশ্যতঃ কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে পরিচিতি পেলেও সা¤প্রতিক বছর গুলোতে বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশের পাশাপাশি শিল্প উৎপাদন কারী দেশ হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশের কৃষি পন্যের মধ্যে অন্যতম পাট, বিশ্ব বাজারে পাটের চাহিদা এবং পাটের কল্যানেন অর্থনৈতিক মুদ্রা উপার্জনের কারনে পাটকে সোনালী আশ বলা হয়। সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখেক আমাদের দেশের পাটের সেই সোনালী দিন আর নেই। আধুনিক প্রযুক্তির ডামাডোল আর নতুন নতুন উদ্ভাবনী মুলক আবিস্কারের কল্যানে পাট তার যৌবন হারিয়েছে। তবে পাটের গুরুত্ব কোন ভাবেই হ্রাস পাইনি আমাদের দেশের পাটের বিশ্ব বাজার এখনও পর্যন্ত নষ্ট হইনি দেশের পাটজাত পন্য অর্থাৎ পাট দিয়ে উৎপাদিত বহুবিধ শিল্প কর্ম, কুটির শিল্প বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে পাট জাত পণ্য কেবল মাত্র বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে তা নয় দেশীয় বাজারেও পাটজাত পন্যের চাহিদা অপরিসীম। দেশের কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ধান উপাদন করে উক্ত উৎপাদিত ধান এর চাল দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি রোধ করছে এবং বিশ্ব বাজারে চাল সহ অপরাপর উৎপাদিত কৃষি পণ্য রপ্তানী করছে। বাংলাদেশ সা¤প্রতিক বছর গুলোতে বিশ্ববাজারে আম রপ্তানী করছে আর উক্ত আম রপ্তানীর মাধ্যমে দেশ প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। বাংলাদেশের প্রাণ কৃষি আর কৃষক। আর এ জন্য আমাদের দেশের কৃষককে আগে রক্ষা করতে হবে, কৃষকের পাশে থাকতে হবে, কারন কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষক না বাঁচলে কৃষি বাঁচবে না।