এফএনএস: বাগেরহাটের মোংলায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল রোববার দুপুরে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, মোংলা পৌর শহরের শ্রমকল্যাণ সড়কের বাসিন্দা বাবুল হোসেনের মেয়ে বর্ণালির (২০) বিয়ে হয় মাদ্রাসা রোডের এনামুল খানের ছেলে মহসিন খানের সঙ্গে। গোপনে বিয়ের চার মাসের মাথায় গত শনিবার সকালে ঝগড়া-ঝাটি করে মহসিন স্ত্রী বর্ণালিকে ঘরে আটকে রেখে চলে যান। এরপর সকাল ১০টার দিকে মহসিন তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন আনার জন্য শ্যালক জুবায়ের হোসেন মারুফকে (১৪) ওই ঘরে পাঠান। মারুফ বলেন, ‘দুলাভাই (মহসিন) ফোন করে আমার বোনের মোবাইল ফোনটি এনে দিতে বলেন। তখন আমি বোনের বাসায় গিয়ে দেখি বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ। পরে ঘরে ঢুকে দেখি আমার বোন রান্নাঘরে চালের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলে রয়েছে। পরে আমি আমার মাকে খবর দিই।’ এ ঘটনায় মহসিনকে অভিযুক্ত করে বর্ণালির মা গোলজান বিবি (৫৫) বলেন, ‘আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি মহসিনের বিচার চাই।’ এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল ও মোংলা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মহসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণালিকে বিয়ে করার কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মহসিন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পুলিশ মহসিনকে গ্রেফতার করেছে। এরপর গত শনিবার সন্ধ্যায় বর্ণালির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের পর বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি। মোংলা থানার ওসি ইসলাম বলেন, ‘বর্ণালিকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় স্বামী মহসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।’ মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা, কারণ শরীরের কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী মহসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’