এফএনএস: বাগেরহাটের ফকিরহাটে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত শামুক ব্যবসায়ী জাহিদ মীর মারা গেছেন। গত রোববার রাত পৌনে ১১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জাহিদের নিকট আত্মীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস সরদার এতথ্য জানিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা এলাকায় জাহিদকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ জাহিদ মীরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন শনিবার জাহিদ মীরের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে আটজনের নাম উলেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয়জনকে আসামি করে ফকিরহাট থানায় মামলা করেন। তবে ঘটনার দুদিন পার হলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গুলিবিদ্ধ জাহিদ মীর খুলনা মহানগরীর বয়রা এলাকার আবুল হোসেন মীরের ছেলে। তিনি ফকিরহাটে শ্বশুর মোলা শহীদের বাড়িতে থেকে শামুকের ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। জাহিদ নিজেও হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বলে জানা যায়। সাবেক ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস সরদার বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহিদ মীর মারা গেছেন। আমরা পুলিশকে অবহিত করেছি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে জাহিদের লাশ আমাদের দিলে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। ফকিরহাট থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকায় ময়নাতদন্তসহ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।