বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের দেশের মাটি, আবহাওয়া এবং জলবায়ূ সবই কৃষি সহায়ক। এদেশের মাটিতে বিভিন্ন দরনের কৃষি সামগ্রী উৎপাদন হয়। ধান, পাট, গম হতে শুরু করে ডাল, সবজি সহ বিভিন্ন ধরনের ফল উৎপাদন হয়। বাংলাদেশের ছয় ঋতুর অন্যতম গ্রীষ্ম বর্ষা এবং শীত। অন্যান্য ঋতুগুলো মধ্যে শরৎ, হেমন্ত ও বসন্ত। কিন্তু উৎপাদনের ক্ষেত্রে বর্ষা, গ্রীষ্ম ও শীত ঋতু সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশ্বের দেশে দেশে আমরা আমাদের কৃষি পণ্য অন্যান্য দেশে উৎপাদিত কৃষি পন্য রপ্তানীর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকে। এবার আসি উৎপাদনে কাঙ্খিত প্রভাব বিস্তার করা গুলোর কথা। বর্ষা ঋতু এমনই এক ঋতু যে ঋতুর কল্যানে কৃষক চাষাবাদ করতে সক্ষম হয়, উৎপাদনে গতি ফেরে কারন পানি ব্যতিত কৃষি উৎপাদন সম্ভব নয়। এবারের বর্ষা ঋতুতে খুব বেশী বৃষ্টিপাতের দেখা যাইনি যে কারনে কাঙ্খিত উৎপাদন হইনি। গ্রীষ্ম ঋতু দৃশ্যতঃ গরম ঋতু বা গরম কাল হিসেবে বিবেচিত হলেও গ্রীষ্মকে মধুঋতু এবং জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধু মাস হিসেবে অবহিত করা হয়। মধু মাসে আম, কাঠাল, লিচু সহ হরেক ধরনের ফলের উপস্থিতি জনজীবনে তথা প্রত্যাহিক জীবন যাত্রায় স্বস্তি আনায়ন করে থাকে। শীত ঋতু বিশেষ ভাবে জনজীবনে প্রভাব বিস্তর করে থাকে। শীতে সর্বত্র পরিবর্তন এবং পরিবর্ধনের ছোয়া দেখা যায়। শীতে রকমারি সবজির উপস্থিতি গ্রাম বাংলাকে আলোকিত করে তোলে। কৃষকের মুখে হাসির রেখা দেখা যায়। ক্রেতারা শীতের সময় গুলোতে বাহারী এবং অপেক্ষাকৃত অন্য ঋতু অপেক্ষায় সবজির মূল্য কম থাকায় বিশেষ খুশি দেখা যায়। এবারের শীত মৌসুমে ব্যাপক শীতের প্রকোপ থাকায় সবজি উৎপাদনে গতিহীনতা পরিলক্ষিত হয়। শীতের প্রচন্ডতায় সবজি উৎপাদন কেবল ব্যাহত হয়েছে তা নয়, সবজি ক্ষেত্রের বাজার জাত করনের অপেক্ষায় থাকা সবজি হলুদাভাব রুপ ধারন করে। গত দুইদিন শীতের প্রচন্ডতায় সবজি উৎপাদন কেবল ব্যাহত হয়েছে তা নয়, সবজি ক্ষেত্রের বাজার জাত করনের অপেক্ষায় থাকা সবজি হলুদাভাব রুপ ধারন করে। গত দুই দিন শীতের প্রচন্ডতা কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় সবজি ক্ষেত গুলোতে প্রানের সঞ্চার ঘটেছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী সবজি চাষ হয় সবজি ক্ষেত গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শীতের তীব্রতা নেই বিধায় সবজি চাষে গতি ফেরেছে। বাজারে বাজারে হরেক রকম সবজির উপস্থিতি এবং ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সমাগম সব মিলে শীতের সবজি বাজারে প্রাণ ফিরেছে।