বাজার ব্যবস্থার সাথে জনসাধারনের জীবন যাত্রা বিশেষ ভাবে সম্পৃক্ত। বাজারের পণ্য সামগ্রীর মুল্য বৃদ্ধি হলে ক্রেতা সাধারন যেমন সংসার ব্যয় নির্বাহ করনে হিমসীম খায় অনুরুপ ভাবে পণ্য সামগ্রীর মূল্য হ্যাস বা সহনীয় পর্যায়ে থাকলে জীবন যাত্রা তথা সংসার ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে থাকে। বর্তমান সময় গুলোতে দেশের বাজার ব্যবস্থা খুববেশী সুখের নয়, পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটেই চলেছে। নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারন হেতু জনজীবনে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। সা¤প্রতিক সময় গুলোতে ভোজ্য তেল ছোয়াবিনের মুল্য বৃদ্ধি এবং শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা ছোয়াবিন তেলের মুল্য বৃদ্ধি এবং মওজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করেছে। বর্তমান সময় গুলোতে সবজি বাজারের আগুন ছোয়া মুল্য ক্রেতা সাধারনকে এক ধরনের অস্বস্থিতে নিক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশ বরাবরই কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে পরচিত বিধায় চাহিদার তুলনায় সবজি উৎপাদন যথাযথ, খোজ নিয়ে জানাগেছে এক শ্রেণির মধ্যস্বত্ত¡ ভোগীদের অনৈতিক ও অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং কারসাজির কারন হেতু সবজির মূল্য পাগলা ঘোড়াকে ছাড়িয়েছে। কৃষক যথাযথ মুল্য পাচ্ছে না অথচ সবজির মূল্য অসহনীয়। কৃষকের ক্ষেত হতে সবজি ভোক্তা পর্যন্ত পৌছাতে অন্তত কয়েক হাত বদল করে আর প্রতিটি হাত বদলে মূল্য বৃদ্ধির ছোয়া। বাজারের মাছ মাংস এবং ডিমের মূল্য বেড়েই চলেছে। মাংস ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী মাংসের মুল্য বৃদ্ধি করে চলেছে। সা¤প্রতিক সময় গুলোতে চিনির মুল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। কেজি প্রতি ৮০/৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে চিনি। মুদি পন্যের মুল্য ও কোন কোন বিক্রেতা ইচ্ছামত নির্ধারন করছে। বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল এবং সহনীয় করার বিকল্প নেই। আর এজন্য চাই মূল্যবৃদ্ধি ও মওজুদ কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান। কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে মনিটরিং সহ মূল্য বৃদ্ধিকারিদের আইনের আওতায় আনবেন।