বাজারের সাথে সম্পর্ক নেই এমন পরিবার বা এমন ব্যক্তি নেই। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী সহ সব ধরনের পণ্য সংগ্রহের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে বাজার। বৃহত্তম এবং প্রান্তীক পর্যায়ের জনসাধারনের বাজারের সাথে সম্পর্ক সর্বাধিক কারন নিত্য পণ্য, সবজি সহ কাচা পন্য ক্রয়ের জন্য প্রান্তীক পর্যায়ের লোকজনদের প্রতিনিয়ত বাজারের সাথে সম্পর্ক। বিত্তশালীর বা ধনিক শ্রেনিরা নিত্র পন্যের জন্য প্রতিনিয়ত বাজার মুখি হয় না তার অন্যতম কারন তাদের অনেকের বেশী পরিমান পণ্য সংগ্রহে থাকে বা নিয়মিত বাজারে গেলেও মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব ধনীক শ্রেনির জন্য মাথা ব্যথার কারন হয় না। কিন্তু প্রান্তীক খেটে খাওয়া দিন আনা দিন খাওয়া গারীব মানুষ গুলোর জন্য যে কোন পন্যের মুল্য বৃদ্ধির ঝাজ বেড়েই চলেছে যে কারনে সাধারন খেটে খাওয়া ও মধ্যবিত্ত শ্রেনি বর্তমান সময় গুলো চরম অস্থিরতায় বসবাস করছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় সবজি বাজার, কাঁচা বাজার অর্থাৎ মাছ, মাংস, ডিমের মুল্য যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে অনুরুপ ভাবে সমন্বয়হীনতাও প্রতারনার ঘটনা ঘটছে। সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দৈনিক দৃষ্টিপাত গতকাল সাতক্ষীরা সবজি ও কাঁচা বাজারে অস্থিরতা মনিটরিং জরুরীঃ ভোক্তা অধিকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ উদাসিন “শিরোনামে জন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে সবজি বাজারের মূল্য বৃদ্ধি, প্রচারনা, মাংস বাজারের আগুন ছোয়া, গরু ও ছাগল জবাই করার নিয়ম না মানা, রোগগ্রস্থ গরু ছাগল জবাই হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে ভোক্তা অধিকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসিনতাও দায়িত্বহীনতার বিষয় চিহিৃত করা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে কোন কোন মাংস ব্যবসায়ী মাংসের ওজন বৃদ্ধির লক্ষে জবাই পরবর্তি মাংস লবনাক্ত এবং দুষিত পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওজন বৃদ্ধির অনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বকরি জবাই দিয়ে খাসি বলে প্রতারনা আর অধিকমূল্য নির্ধারন করছে। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং এর পাশাপাশি সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এর নজরদারিও দায়িত্বশীলতাই পরিস্থিতি সামলে দিতে পারে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষক মহল।