দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি পাগলা ঘোড়ার ন্যায় ধাবমান। দেশের অভ্যন্তরভাগের বাজার ব্যবস্থায় নেমে এসেছে অস্থিরতা। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যেতে বসেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী রমজান মাস আগত। আর এই মাসকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির অশুভ ও অনৈতিক প্রতিযোগিতায় নেমেছে। মহামারী করোনা ভাইরাসের যে অভিশাপ সেই আকাঙ্খিত অভিশাপ ভর করেছে বাজার ব্যবস্থায়, বলা যায় করোনা অপেক্ষা কোন ভাবেই কম গুরুত্বপুর্ণ নয় নিত্য পণ্যের বাজার অস্থিতিশীলতা। জনসাধারন বাজারে পৌছে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে চাইলে মুহুর্তে মন খারাপ হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থায় অনাকাঙ্খিত প্রভাব এবং অনৈতিক পদ্ধতি ও ব্যবস্থাকে প্রতিরোধ করতে হবে। বাজারে বাজারে পন্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ার চলমান কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। বর্তমান বাজার ব্যবস্থার অস্থিতিশীলতা এবং পণ্য সামগ্রীর মুল্য বৃদ্ধির অসহনীয় পরিবেশ পরিস্থিতি ক্রেতা সাধারনকে কেবল উদ্বিগ্ন করছে তা নয়, চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দ্বীন মজুর হতে চাকুরীজীবী কোন মাধ্যমই সুখি নয়, উপার্জন এবং ব্যায়ের তারতম্যে নিষ্পেষিত ক্রেতা সাধারন। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থা অত্যন্ত অসহনীয়। বাজারে গেলেই মন খারাপ এর পাশাপাশি দুশ্চিন্তা ভর করছে। মাছ, মাংসের বাজার স্থানীয় ভাবে নির্ধারনের দীর্ঘ দিনের সহনীয় পরিস্থিতিতে পেরেক বিদ্ধ হচ্ছে ভোগ্য পন্যের মধ্যে বিশেষ করে ভোজ্যতেল, ডাল, ছোলা, তিনি সহ এমন ধরনের পন্যের মূল্য বেড়েই চলেছে। সাতক্ষীরার বাজার গুলোতে সবজির মূল্য বৃদ্ধির অসম প্রতিযোগিতা চলছেই। অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়ে সবজির মূল্য বৃদ্ধি চরম পর্যায়ে। বাজার গুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। বাজারে বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা করলে পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির অসম পরিস্থিতির অবসান ঘটবে বলে মনে করছেন ভোক্তা সাধারন।