এফএনএস : বাজার স্থিতিশীল রাখতে খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) বাড়াচ্ছে সরকার। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএসে যে চাল ও গমের বরাদ্দ ছিল ইতিমধ্যে তার বিতরণ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এমন অবস্থায় অর্থবছরের বাকি সময়ের জন্য এক লাখ টন চাল ও ৫০ হাজার টন গম নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে ওসব চাল ও গম ওএমএসের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। খাদ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সম্প্রতি চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওএমএসের দোকানে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে ওএমএস খাতে ৪ লাখ ৭০ হাজার টন চালের বরাদ্দ রয়েছে। আর গমের বরাদ্দ রয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টন। গত ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৪ লাখ ২৫ হাজার টন চাল ও ৩ লাখ ৭৮ হাজার টন গম ওএমএসের মাধ্যমে খোলাবাজারে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমানে খাদ্য বিভাগের কাছে ওএমএস বাবদ ৪৪ হাজার ২০০ টন চাল ও ৮৫ হাজার ২০০ টন গম মজুত রয়েছে। কিন্তু ওএমএসের দোকানে ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ওই মজুত দিয়ে অর্থবছরের বাকি সময় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে দোকান ও ট্রাকসেল মিলিয়ে এক হাজার ৯৭৬টি কেন্দ্রে ওএমএসের চাল ও গম বিক্রি করা হয়। ওসব কেন্দ্রে দৈনিক ২ হাজার ৫৬৩ টন চাল এবং এক হাজার ২৪০ টন গম সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অর্থবছরের বাকি সময়ে সরকারি ছুটি ব্যতীত আরো ৫৯ দিন ওএমএস কার্যক্রম চলবে। তাতে এক লাখ ৫১ হাজার টন চাল ও ৭৩ হাজার টন গম লাগবে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় বাড়তি চাহিদা মেটাতে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে ও জরুরি বিবেচনায় ওএমএস কার্যক্রমের জন্য এক লাখ টন চাল ও ৫০ হাজার টন গম বরাদ্দ দিয়েছে। ওএমএসে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেচি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে কিনতে পারেন। এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, ঢাকা মহানগরের বাজারগুলোতে গতকাল প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা দরে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে। দেশের অন্যান্য বাজারেও একই দরে চাল ও আটা বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানা যায়।