কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ আমার বাবাকে আমার চেয়ে আপনারা বেশি কাছে পেয়েছেন। আমার বাবা জনগনের অধিকার আদায়ের দাবিতে অনেকবার জেল খেটেছেন । ঘেরবিরোধী আন্দোলনে অনেক জুলুম সহ্য করেছেন। এজন্য ছোট বেলায় বাবাকে কাছে পাইনি। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় অনেক উন্নয়নও করেছেন। তিনি আমাদের যে রকম ভালবাসেন ঠিক তেমনি জনগনকে ভালবাসেন। আমার বাবা সৎ, ব্যক্তিত্ববান ও জবাবদিহিতায় বিশ^াসী একজন মানুষ। মানুষের সঙ্গে মেশার অসম্ভব ক্ষমতা আছে আমার বাবার। আমার কোন ভাই নেই আমরা তিন বোন। মেজ বোনকে মানুষকে সেবা করতে আব্বা তাকে ডাক্তারি পড়াইছেন। আমি আপনাদের মেহবান আপনারা আমার মেজবান। মেজবানরা মেহমানের আতিথিয়তা করেন, আপনাদের আমাকে আতিথিয়তা করতে হবে না। আপনাদের দেখে আমি খুব খুশি । কাঁদো কাঁদো কন্ঠে উঠান বৈঠকে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কোন ভাই নেই আপনারা আমার ভাই। আপনারা সবাই আমার বাবাকে নৌকা প্রতিকে ভোট দিবেন এভাবে কাঁদো কন্ঠে ভোট চাওয়ায় মহিলাদের হ্নদয় ছুয়েছে। এমন আবেগপ্রবণ কন্ঠে প্রথমবারের মত ভোটের মাঠে প্রার্থীর মেয়ের অশ্রু স্বজল দেখে মহিলারা উঠান বৈঠকে কেঁদে ফেলেন এবং হাত উচিয়ে নৌকার ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বৃহস্পতিবার (২৮)ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মহারাজপুর ইউনিয়নে মহিলা আওয়ামীগ সভাপতি নিলিমা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে বাবার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন, মোঃ রশীদুজ্জামানের বড় মেয়ে মৃত্তিকা জামান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নৌকাকে বিজয়ী করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতীক। এই প্রতীকে ভোট দিলে মানুষ উন্নয়ন দেখতে পায়। একজন নারীকে তাদের সন্তান বা স্বামী ভাত দেন না, শেখ হাসিনা সরকার কিন্তু তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে আরোও কয়েকগুন বেশি উন্নয়ন হবে। আপনাদের মূল্যবান ভোট টি নৌকা মার্কায় পেলে আমার বাবা বিজয়ী হবেন।আপনাদের কাছে আমার বাবার জন্য ভোট প্রার্থনা করছি। আগামী ৭ ই জানুয়ারি নৌকার বিজয় হলে কয়রার প্রতিটি ওয়ার্ড- গ্রাম মডেল গ্রামে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। এসয় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিউলি বিশ^াস, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা মিলি, মহিলা আ’লীগ সদস্য ছাকিনা কবির, আয়েশা খাতুন, নুরজাহান সামাদ সহ শত শত মা ও বোনেরা।