এফএনএস বিদেশ : বার্ড ফ্লুর প্রকোপে মড়ক লেগেছে যুক্তরাষ্ট্রের পোল্টি্র খাতে। হাঁস—মুরগির সংখ্যা কমতে থাকায় ডিম বিক্রি সীমিত করে দিতে বাধ্য হয়েছে সুপার স্টোর ও মুদি দোকানগুলো। এতে ডিমের তীব্র সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে দেশটিতে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি অপ্রতুল হওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে চুরি বেড়েছে দোকানগুলোতে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে বার্ড ফ্লুতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যে ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি পোল্টি্র মুরগি মারা গেছে। ভাইরাসটি মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, সা¤প্রতিক মাসগুলোতে ভাইরাসে আক্রান্ত পাখির সংখ্যা আরও বাড়ছে। গত নভেম্বরে প্রায় ৭ মিলিয়ন, ডিসেম্বরে ১৮ মিলিয়ন এবং জানুয়ারিতে ২৩ মিলিয়ন পাখি আক্রান্ত হয়েছে। ইউএসডিএর প্রাণী ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্য পরিদর্শন পরিষেবা বলছে, গত ৩০ দিনে ১৫০ ঝাঁক পাখিতে বার্ড ফ্লু পজিটিভ পাওয়া গেছে এ অবস্থায় গ্রাহকদের জন্য ডিম সরবরাহ সীমিত করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপার স্টোর ও মুদি দোকান মালিকরা। একজন গ্রাহকের কাছে এক ডজনের বেশি ডিম বেচতে রাজি হচ্ছেন না অনেক বিক্রেতা। কোন কোন দোকানে আবার একটি পরিবারের সদস্যপ্রতি তিনটি ডিম বিক্রির সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় আবার দুটি ডিমের বেশি ক্রয় করতে পারছেন না গ্রাহকরা। সেইসঙ্গে ডিমের দামও বেড়ে গেছে অস্বাভাবিক হারে। মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ প্রকাশিত কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, এক বছর আগের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাংশ দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের। কিন্তু, শুধু ডিমের দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। এদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কমে যাওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে চুরির ঘটনা বেড়েছে মুদি দোকান এবং সুপারমার্কেটগুলোতে। চলতি মাসের শুরুর দিকেই প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের এক লাখ অর্গানিক ডিম চুরির ঘটনা ঘটেছে পেনসিভানিয়ার গ্রীন ক্যাসল থেকে। শুধু যে টাকার জন্যই এসব ডিম চুরি হচ্ছে তা নয়; অনেকে পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানোর জন্যও আশ্রয় নিচ্ছেন চুরির। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটছে যুক্তরাষ্ট্রে।