এফএনএস: রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায় বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ট্রাকের সঙ্গে দুটি বাসের সংঘর্ষে মারা গেছেন তিন জন বাসযাত্রী। গত রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ দুর্ঘটনায় একটি বাস সড়ক থেকে ছিটকে রাস্তার পাশের খাদে পানির মধ্যে উল্টে যায়। এতে তিন জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন— মো. জুয়েল আহমেদ (৪০), মো. নাসিম উদ্দিন (৪৫), ও মো. মিজানুর রহমান (৩২)। তাদের সবার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের ঘোড়াপাখিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪১ জন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানায়, রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে খড়খড়ি বাইপাস সড়কে একটি বালুবাহী ডাম্পট্রাকের সঙ্গে পিরোজপুরগামী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ছিটকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকটিকে পেছনে থাকা আরও একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে দ্বিতীয় বাসটিরও এক পাশ দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে দ্রুত যাত্রীরা নেমে খাদে পড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে ঘটনাস্থল থেকে তারা কোনও মরদেহ পাননি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। মহানগর জামায়াতের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার জানান, দুটি বাসে প্রায় ৯০ জন যাত্রী ছিলেন। যাদের সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়ন শাখা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থক। প্রয়াত জামায়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে তারা পিরোজপুর যাচ্ছিলেন। যাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪০ জন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে নাসিম, মিজান ও জুয়েল নামের তিন জন জামায়াত কর্মী মারা গেছেন। নিহতরা সকলেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে।