এফএনএস বিদেশ : বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প থেকে পানামার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছে চীন। দেশটি বলছে, পানামার ওপর যেকোনো ধরনের বহিরাগত হস্তক্ষেপের তারা বিরোধিতা করে। গতকাল শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, বেইজিং পানামার সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে বৃহত্তর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও উভয় দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ বিবেচনা করে পনামাকে বহিরাগত হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করা উচিত। খবর এএফপির। স¤প্রতি পানামা ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে, যার মূল কারণ পানামা খালে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ। হংকং ভিত্তিক কোম্পানি সিকে হাচিসন হোল্ডিংস পানামা খালের উভয় প্রবেশপথে দুটি বন্দর পরিচালনা করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি পানামা অবিলম্বে চীনের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ কমাতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ওয়াশিংটন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এরপরই পানামা ঘোষণা করেছে যে তারা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে সরে আসছে। ২০১৭ সালে চীনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করবে না দেশটি। এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পানামা খালের কৌশলগত গুরুত্ব বিবেচনায়, যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই উপস্থিতিকে হুমকি হিসেবে দেখছে। তবে পানামার প্রেসিডেন্ট মুলিনো স্পষ্ট করেছেন যে, খালের সার্বভৌমত্ব কোনো আলোচনার বিষয় নয় এবং এটি পানামারই থাকবে। এই পরিস্থিতিতে চীনও তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, চীন পানামার সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে।