এফএনএস: আজ বৃহস্পতিবার বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের পঞ্চম দিন। একাত্তরের এই দিনে সীমান্ত লাগোয়া এলাকাসহ বাংলাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রচণ্ড লড়াই। শক্তিশালী ভারতীয় বাহিনী ও দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আর কখনো পড়েনি তারা। দিনটি তাদের জন্য আসন্ন চরম বিপর্যয়ের বার্তাই বয়ে এনেছিল। এদিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার এবং পূর্ব পাকিস্তানের শরনার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহবান জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিরদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটোর ফলে বিশ্ববাসীর কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধ গুরুত্ব লাভ করেছিল। এছাড়া বৃটেন ও ফ্রান্স ভোটদানে বিরত থাকে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান বিমানবাহিনী ৫ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। ফলে এদিনের পর ঢাকার আকাশে আর কোনো জঙ্গি বিমান ওড়েনি। এর একদিন পরেই ভারত সরকার বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতী দেয়। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনী বিজয় লাভ করতে থাকে। পিছু হটতে থাকে পাকিস্তানী সৈন্যরা। একাত্তরের এই দিনে কুড়িগ্রাম, ফেনী, বিলোনিয়া, কুমিল্লার দেবীদ্বার, শেরপুরের ঝিনাইগাতী, যশোরের ঝিকরগাছা, মুন্সীনগর ছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন এলাকা পাক বাহিনীর কবলমুক্ত হয়। যতই শত্রু হটানোর খবর চাউর হচ্ছে ততই স্বাধীনতাকামী মানুষসহ মুক্তিবাহিনী উজ্জীবিত হচ্ছে। ‘বাংলাদেশের জন্মগ্রহণ’ শীর্ষক গন্থে(১২৩—১২৪ পৃষ্ঠা) মেজর জেনারেল রাও ফরমান লিখেছেন, সকালে কুমিল্লায় ব্যাটালীয়ন আÍসমর্পণ করার দুঃসংবাদ জানানো হয়। এভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ক্রমান¦য়ে ত্বরানি¦ত হতে থাকে।