রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

এফএনএস: আজ সোমবার ৯ ডিসেম্বর লড়াকু মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। অন্যরকম অভিজ্ঞতা। প্রতি মুহূর্তেই রচিত হতে থাকে স্বাধীনতা যুদ্ধ জয়ের অমর গাঁথা। ১৯৭১ সালের এই দিনে চাঁদপুর ও দাউদকান্দি (কুমিল্লা) এলাকা পাকিস্তানী বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত এই পর্যায়ে অন্য অঞ্চলের সাথে মুক্ত হয়েছিল ফেনীর ছাগলনাইয়া। এক নম্বর সেক্টরের ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা এই এলাকা মুক্ত করার লড়াইয়ে অংশ নেয়। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ফেনী—চট্টগ্রাম সড়ক ধরে এবং অন্য একটি অংশ মুহুরী নদী হয়ে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। তুমূল গণযুদ্ধ শেষে আজকের দিনে জামালপুরও মুক্ত হয়। এটি মুক্ত হওয়া ছিল একটি মাইলফলক। পরবর্তীতে মুক্তিবাহিনী টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকায় পেঁৗছেছিল। দেশের অন্য প্রায় সকল অঞ্চলে তখন চলছিল ঢাকা দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ৯ ডিসেম্বর থেকেই সব দিক থেকে মুক্তিবাহিনী ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। এদিকে, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা. এ এম মালিকও মরিয়া হয়ে উঠেন। সেদিন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, আশু যুদ্ধ বিরতি এবং রাজনৈতিক মীমাংসা বিবেচনার জন্য আরো একবার আপনার প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ঐ দিন রাতে ইয়াহিয়া খান তার উত্তরে লিখেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি আমি সম্পূর্ণরূপে আপনার উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আপনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই আমি অনুমোদন করবো। একই সাথে জেনারেল নিয়াজীকে নির্দেশ দিচ্ছি তিনি যেন আপনার সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং সেই অনুসারে সবকিছুর আয়োজন করেন। মূলত এই বার্তার মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আত্মসমর্পণের অনুমতি দিয়েছিলেন। অথচ এর আগের দিনের চিঠিতেও তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাংলার বীর সেনানীদের যুদ্ধ ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল বলেই ইয়াহিয়া খান এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। একাত্তরের এই দিন আরো হানাদারমুক্ত হয় কুমারখালী (কুষ্টিয়া), তিতাস (কুমিল্লা), পাইকগাছা (খুলনা), গাইবান্ধা, নকলা (শেরপুর), অভয়নগর (যশোর), ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও ও ত্রিশাল (মোমেনশাহী), নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন এলাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com