এফএনএস: আজ বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর। একাত্তরের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ঢাকার ডেমরাকে দখলদারমুক্ত করেছিল। রংপুর ও সৈয়দপুরের দুটো ক্যান্টনমেন্ট ছাড়া বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফরিদপুরের ভাটিয়াপাড়া ও সিলেটের হরিপুরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী সেনাদের ওপর চূড়ান্ত হামলা চালায়। এদিন টাঙ্গাইলের অব্যবহৃত বিমানবন্দর ব্যবহার করে নামানো হয় ভারতীয় সেনা। ঢাকার চারদিক ঘিরে ফেলে, মুক্তিসেনারা ঢাকা দখলের জন্য অবস্থান নেয়। এ সময় ঢাকা রক্ষার শেষ চেষ্টাও পাকিস্তানী শাসকদের হাতছাড়া হয়ে যায়। এ বিষয়ে রাও ফরমান আলী লিখেছেন, ঢাকাকে রক্ষার গুরুত্ব যখন অনুধাবন করা হয় ততক্ষণে ফ্রন্ট লাইনগুলো থেকে ঢাকায় কিছু ট্রম্নপস (সেনাদল) পাঠানোর জন্য নবম ও ষোড়শ ডিভিশনের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু ফেরির অভাবে এবং আকাশের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কোন উদ্যোগ নেয়া যায়নি। এদিন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় দ্বিতীয়বারের মতো। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন এতে ভেটো দেয়। এদিন সকালেই মুক্ত হয়ে যায় নরসিংদী। গত তিন দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় ভারতীয় বাহিনীর পাঁচটি ব্যাটালিয়ন, দুটি গোলন্দাজ রেজিমেন্ট ও ৫৭ ডিভিশনের টেকনিক্যাল হেডকোয়ার্টার মেঘনা অতিক্রম করে। সূর্যাস্তের আগেই জামালপুর ও মোমেনশাহী থেকে ভারতীয় জেনারেল নাগরার বাহিনী চলে আসে টাঙ্গাইলে। বিমান থেকে অবতরণ করা সেনারা নাগরার বাহিনীর সাথে মিলিত হয়।