এফএনএস: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এখন থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল কেনা ও ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল সোমবার উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা জানান। তিনি বলেন, দেশের সীমান্তে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বিজিবিকে। এই প্রথম তাদের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল কেনা ও ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হলো। স¤প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ফসল কাটা নিয়ে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজিবি তখন পাল্টা এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেনি। কারণ এগুলো তাদের কাছে নেই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্ডারে সব সময় লেথাল উইপন (প্রাণঘাতী) দেওয়া ছিল। আপনারা অনেক সময় শোনেন বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেড মারে নাই, টিয়ার শেল মারে নাই। এগুলো তো বিজিবির কাছে নাই। এজন্য আমরা বিজিবিকে অনুমতি দিয়েছি, খুব তাড়াতাড়ি এই টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ক্রয় করা হবে। যেগুলো আনলেথাল। এগুলো বিএসএফের কাছে আছে। সীমান্তের অবস্থা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এদিকে আগামী ৩১ জানুয়ারির পর বিদেশি যারা অবৈধভাবে বাংলাদেশের অবস্থান করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট। শুধু অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধেই নয় যে সংস্থাগুলো তাদের কাজ দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এর আগে আমাদের দেশের বিদেশি যারা ছিল তাদের সংখ্যাটা হল ৪৯ হাজার ২২৬ জন। এখন এটা কমে আসছে ৩৩ হাজার ৯৪৮। আগামী ৩১ জানুয়ারি তাদের এই সময়ে সীমা শেষ হয়ে যাবে। আমরা ইতিমধ্যে এদের মাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বিভিন্ন আয় করেছি। আর যেহেতু তারা চলে যাচ্ছে, যারা অবৈধভাবে আছে ৩১ জানুয়ারির পর তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। এটা শুধু অবৈধ বিদেশি বিরুদ্ধেই নয় যারা তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।