দেবহাটা অফিস \ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ওয়ার্কিং ভিসায় বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েনেয়াপাড়া ইউনিয়নপর সাংবাড়ীয়া গ্রামের ৯ যুবক ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ এক প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও কেবলমাত্র আশ্বাস ছাড়া বিদেশ যাত্রা জুটেনি প্রতারিত যুবকদের ভাগ্যে। আর হাতিয়ে নেয়া অর্থে আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা, টাকা ফেরত চাইতে গেলে ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর কপালে জুটছে অত্যাচার ও হুমকি। এতে করে বর্তমানে সহায় সম্বল খুঁইয়ে বিভিন্ন মহলের দারস্থ হয়েও টাকা ফেরত না পাওয়ায় সম্প্রতি ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রতারিত যুবক ও তাদের পরিবারগুলো। প্রতারিতদের মধ্যে দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের সাংবেড়িয়া গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথ বরের ছেলে প্রশান্ত কুমার বর জানান, কয়েকমাস আগে সাংবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রুপা মন্ডল (৩০), তার স্বামী পরিচয়দানকারী যশোরের জনৈক আবির শেখ (৩৯) আমাদের গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবকদের তরস্কসহ বিভিন্ন দেশে নিশ্চয়তার সাথে ওয়ার্কিং ভিসায় কাজের জন্য পাঠাতে পারবে বলে আশ্বস্থ্য করেন। কিছুদিন পর আমি আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ১০ লাখ টাকা সহ পর্যায়ক্রমে আমাদের গ্রামের মহাদেব মন্ডলের ছেলে কার্তিক মন্ডল ৫ লাখ টাকা, মোহন ভুঁইয়ার ছেলে বিকাশ ভুঁইয়া ১০ লাখ টাকা, নিরান ভুঁইয়ার ছেলে সুজন ভুঁইয়া ৫ লাখ টাকা, পাঁচু ভুঁইয়ার ছেলে লক্ষণ ভুঁইয়া ১০ লাখ টাকা, জোহর আলীর ছেলে ইয়াছিন আলী ৩ লাখ টাকা, নিতাই ঘুঘুর ছেলে মহন্ত ঘুঘু ৫ লাখ টাকা, সাবু গাজীর ছেলে মাসুম গাজী ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা সহ গ্রামের অনেকেই প্রতারক রুপা মন্ডলে ও তার স্বামী পরিচয়দানকারী আবির শেখের হাতে জমিজমা বিক্রি করে শেষ সম্বলটুকু তুলে দিই। কিন্তু তারপর থেকেই ওই প্রতারকদ্বয় আমাদের সন্তানদের বিদেশে না নিয়ে একের পর এক তালবাহানা করতে থাকে। গত ৪ মার্চ তুরস্কে থাকা ওই চক্রের সদস্য শম্ভু মাখালকে সাতক্ষীরা শহরে ঘুরতে দেখে আমরা তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সেসময় শম্ভ জানায় তার ও বিজন মন্ডলের তুরস্কে যাওয়াটাও প্রতারক রুপা মন্ডল এবং তার স্বামী পরিচয়দানকারী আবীর শেখের প্রতারণার নাটকের অংশ ছিল। এরপর আমরা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারি এবং তাদের কাছে টাকা ফেরত চাই। এতে করে প্রতারক চক্রটি আমাদের একের পর এক তালবাহানা ও হুমকি দেয়া অব্যহত রেখেছে। বর্তমানে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রতারক রূপা মন্ডল ও তার স্বামী পরিচয়দানকারী আবীর শেখের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতারিত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ নয় পরিবারের মাঝে নেম এসেছে বিষাদের ছায়া।