সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শুল্কমুক্ত সুবিধায় হাজার হাজার টন চাল আমদানিতেও বাজারে প্রভাব পড়েনি বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ শীতজনিত রোগীর চাপ রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি হাসপাতালে বাড়ছে সাতক্ষীরা পৌর—মেয়রের বরখাস্তের আদেশ অবৈধ: হাইকোর্ট স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত মোবাইল—ইন্টারনেটে কর প্রত্যাহার না হলে এনবিআর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার মেট্রিক টন চাল টিউলিপের উচিত ক্ষমা চাওয়া: ইউনূস বিজিবি—জনগণ ‘শক্ত অবস্থান’ নেওয়ায় ভারত পিছু হটেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৩

এফএনএস: বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ইউনিট প্রতি এক টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি। গতকাল রোববার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সঞ্চালন সংস্থা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণ শুনানি শেষে এ তথ্য জানানো হয়। শুনানিতে আগ্রহী পক্ষগুলো নিজ নিজ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিদ্যুতের বিদ্যমান ভারিত গড়মূল্য ৭ টাকা ০২ পয়সা। প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে বিইআরসি নতুন ভারিত গড় মূল্য ৮ টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল ও চারজন সদস্য শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। দুপুরের পর শুনানিতে জেরা পর্ব শুরু হবে। গত নভেম্বরে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই খুচরায় দাম বাড়াতে আবেদন জমা দিতে থাকে বিতরণ সংস্থাগুলো। সেই আবেদন কারিগরি কমিটিতে মূল্যায়ন শেষে এখন গণশুনানি হচ্ছে। ভর্তুকির ভার কমাতে গত ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। এর ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করছে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ৫ টাকা ১৭ পয়সা ছিল। ওই ঘোষণার পর ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিপিডিবি, বিআরইবি, ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো, ওজোপাডিকো খুচরা বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করতে আবেদন করতে থাকে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে বিদ্যুতের দাম সব পর্যায়ে বাড়ানো হয়। তখন পাইকারিতে দাম ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। তাতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৬ পয়সা বেড়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা হয়, যে হার এখনও বহাল। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি সিপিবির : বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। গতকাল রোববার সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ভুলনীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অপচয় প্রভৃতি কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু সরকার এসব সত্য গোপন করে উৎপাদন বৃদ্ধির অজুহাতে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞরা এটা প্রমাণ করেছেন যে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধ করে বিদ্যুৎ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। অথচ এটি না করে জনগণের কাঁধে এই বোঝা চাপানো হচ্ছে। বর্তমান চড়া মূল্যস্ফীতির সময়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচসহ সর্বত্র এর প্রভাব পড়বে, যা বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের ওপর চাপানো হবে। তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই যৌক্তিক হবে না। বিবৃতিতে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ এবং এ খাতে ভুলনীতি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও বিচার করার দাবি জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com