বিদ্যুৎ আধুনিক সভ্যতার অন্যতম পাথেয়। বিদ্যুৎ ব্যতিত সময়ে অতিক্রম করা সম্ভব নয়। উৎপাদনে, জীবন যাত্রায় সর্বত্র বিদ্যুতের অপরিহার্যতার বিকল্প নেই। আমাদের দেশের বাস্তবতায় জমি সেচ, কৃষি উৎপাদন, শিল্প উৎপাদন সব খানেই বিদ্যুতের ব্যবহার। স¤প্রতি দেশের সর্বত্র লোডশেডিং চলমান। কিছু দিন পূর্বে জাতীয় গ্রেডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটায় দৃশ্যতঃ রাজধানী ঢাকা সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্যুৎ হীনতার কবলে পড়ে। অবশ্য জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা সামাল দিয়ে সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। বর্তমান সময় দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় সাতক্ষীরা ও শিল্প উৎপাদনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ক্ষুদ শিল্প, কুটির শিল্প, এবং হিমায়িত, চিংড়ি রপ্তানী করার ও বাজারজাত করনের অপরিহার্য মাধ্যম বরফ উৎপাদন এর অন্যতম মাধ্যম সাতক্ষীরা। এই জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ বছরের পর বছর শষ্য ভান্ডার হিসেবে নিজেকে বিশেষ ভাবে পরিচিত করেছে যে কারনে খাদ্য শষ্য উৎপাদনে সাতক্ষীরা শষ্য ভান্ডার হিসেবে নিজেকে নাম লিখিয়েছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ অনুপস্থিত। সাতক্ষীরা শিল্প ও কৃষি উৎপাদনে বিদ্যুতের ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ আর এ কারনে বর্তমান সময় গুলোতে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে উৎপাদনে ব্যাপক ভিত্তিক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। জীবন যাত্রা তথা দৈনন্দিন জীবন যাপনে ও বিদ্যুতের অনুপস্থিতি জীবন যাত্রাকে ব্যাহত করে চলেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম ভাবে ক্ষতির কারনে পরিনত হচ্ছে সাতক্ষীরা শহর হতে শুরু করে মফস্বল এলাকাগুলোর সর্বত্র চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ঘোষনা দিয়ে লোডশেডিং হলে তার প্রস্তুতি সম্ভব। বিধায় সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের সরবরাহ না হলে সেটি আগাম ঘোষনা দিলে সেটীই কাম্য।