শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

বিনা বাধায় স্কুলে প্রবেশ করে টেক্সাসের হামলাকারী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৮ মে, ২০২২

এফএনএস বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের প্রাথমিক স্কুলে হামলাকারী বিনা বাধায় ভবনে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। টেক্সাসের রেঞ্জার ভিক্টর এসক্যালন জানান, তরুণ বন্দুকধারীকে কোনও সশস্ত্র রক্ষী চ্যালেঞ্জ জানায়নি আর স্কুলের দরজাও খোলা ছিল কিনা তাও স্পষ্ট নয়। হামলাকারীকে ঠেকাতে পুলিশের দৃশ্যত বিলম্ব নিয়ে সমালোচনা হলেও তাদের প্রতিক্রিয়ার পক্ষ নিয়েছেন রেঞ্জার ভিক্টর এসক্যালন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে, উভালদের রোব এলিমেন্টারি স্কুলের অভ্যন্তরে হামলাকারীকে মোকাবিলা করতে দ্বিধায় ছিল পুলিশ। রেঞ্জার এসক্যালন বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায় বন্দুকধারী এক রক্ষীর ওপর গুলি চালিয়েছিল, তবে তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, হামলাকারী প্রবেশের চার মিনিটের মাথায় পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে ঢোকে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তারা বন্দুকের গুলির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে প্রবেশ করেনি।’ তবে মার্কিন সীমান্ত টহলের ট্যাক্টিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরে প্রায় এক ঘণ্টার মাথায় হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়। হামলাকারী ১৯ শিক্ষার্থী এবং দুই শিক্ষককে হত্যা করে। এ ছাড়া আরও ১৭ জনকে আহত করে। সামনে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শী এবং পরিবারের মরিয়া সদস্যরা পুলিশকে অবিলম্বে ভবনে প্রবেশের আহŸান জানাচ্ছেন। হামলায় মেয়ে হারানো এক বাবা জানান তিনি পুলিশের প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হয়ে আশেপাশের মানুষদের নিয়ে স্কুলে দৌড় দেওয়ার কথা বিবেচনা করছিলেন। এক মা জানান, তাকে কিছুক্ষণের জন্য হাতকড়া পরিয়েও রাখা হয়। পুলিশি তদন্তে বাধার অভিযোগে হাতকড়া পরানো হয় তাকে। অন্য বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনিও পুলিশকে ভবনে প্রবেশের তাগিদ দিচ্ছিলেন। অ্যাঞ্জেলি রোজ গোমেজ বলেন তিনি দেখেছেন একজন মরিয়া বাবাকে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে পুলিশ, আরেকজন বাবাকে মরিচ-স্প্রে করতে দেখেছেন এবং তৃতীয় একজনকে পরে চেপে ধরেছেন। পরে নিজের দুই সন্তানকে উদ্ধারে প্রাচীর ডিঙিয়ে স্কুলে প্রবেশ করেন গোমেজ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পুলিশ কিছুই করেনি। তারা শুধু প্রাচীরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা ভেতরেও যাচ্ছিলো না কিংবা কোথাও দৌড়াদৌড়িও করছিলো না। তবে টেক্সাসের রেঞ্জার এবং টেক্সাসের জননিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র ভিক্টর এসক্যালন বলেন, ওই সময়ে বাইরে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা অতিরিক্ত সদস্য চেয়ে পাঠিয়েছিলেন এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা পর মার্কিন সীমান্ত টহলের ট্যাক্টিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা প্রবেশ করতে সক্ষম হয় এবং সন্দেহভাজনকে গুলি করে হত্যা করে।’ সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com